বাংলাদেশে ফের দু’টি ডেরায় পুলিশি অভিযানের সময়ে বিস্ফোরক ফাটিয়ে আত্মহত্যা করল দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। গুলির লড়াইয়ে জখম পুলিশের এক অতিরিক্ত সুপার। গ্রেফতার করা হয়েছে একটি ডেরার মালিক-সহ চার জনকে।
খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহের সঙ্গে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার অনেকগুলি যোগ মেলায় সেখানে বাড়তি নজর রেখেছিল জঙ্গি-দমন শাখা। ২১ এপ্রিল দু’টি জঙ্গি ডেরায় অভিযানে কাউকে গ্রেফতার করা না-গেলেও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়। তার পরে পালানো জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতে করতে রবিবার ভোরে মহেশপুর উপজেলায় বজরাপুর গ্রামের একটি ও সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের একটি বাড়ি ঘিরে ফেলেন জঙ্গি-দমন শাখার অফিসাররা। গ্রামবাসীরা দফায় দফায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন। দু’টি বাড়িরই আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে আধ কিলোমিটার ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
দুপুরে অভিযান শেষে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহম্মেদ জানিয়েছেন, এক সময়ে প্রচণ্ড একটি বিস্ফোরণের শব্দের পর বজরাপুরের বাড়িটি থেকে গুলি আসা বন্ধ হয়ে যায়। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পরে দুপুরে পুলিশ বাড়িটির ভিতরে ঢুকে দুই জঙ্গির ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। ওই পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এক জঙ্গির নাম তুহিন। অন্য জনের পরিচিতি জানা যায়নি। পুলিশের দাবি। দু’জনেই নব্য জেএমবি-র সদস্য। অন্য বাড়িটি থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আটটি শক্তিশালী বোমা ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে এই বাড়ির মালিক ও তার এক সঙ্গীকে। তিনি জানান, এই অভিযানে পুলিশের এক অফিসার-সহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে ২১ এপ্রিল ঝিনাইদহের পোড়াহাটি গ্রামে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখান থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে পারলে ২০ ড্রাম রাসায়নিক, বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ, একটি পিস্তল ও প্রচুর তৈরি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। জঙ্গি-দমন শাখা জানায়, বোমা তৈরি ও মজুতের কাজ করা হতো এই বাড়িতে। আজকের মৃত জঙ্গিরাই ওই বোমার কারখানা ও ভাণ্ডারটি চালাত বলে দাবি করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy