Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
International

জীবিত ধরা গেল না তামিমকে, আক্ষেপ রয়ে গেল বাংলাদেশ পুলিশের

তামিম চৌধুরীকে জীবিত ধরতে চেয়েছিল যৌথবাহিনী। ওকে ধরতে পারলে জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির ‘নতুন ধারার’ আদ‌্যোপান্ত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ১৪:২৮
Share: Save:

তামিম চৌধুরীকে জীবিত ধরতে চেয়েছিল যৌথবাহিনী। ওকে ধরতে পারলে জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির ‘নতুন ধারার’ আদ‌্যোপান্ত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। কানাডার পাসপোর্টধারী তামিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আসে। তার পর থেকে আত্মগোপন করে ছিল। এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা পুলিশ কর্তা মনিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশে জেএমবির যে অংশটা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, সে অংশেরই শীর্ষ নেতা ছিল তামিম চৌধুরী। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে থেকেই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারেও এ তথ্য পেশ করা হয়েছে।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় পরে বাড়ি থেকে পালানো তরুণ এবং যুবকদের তালিকা তৈরি করতে তত্পর হয় পুলিশ। নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা পুলিশ দিয়েছিল, সেখানেই তামিমের নাম ছিল।


এই বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। নিজস্ব চিত্র।

গত ২৫-২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৯ জঙ্গিকে খতম করে যৌথবাহিনী। জীবিত ধরা পড়ে রাকিবুল হাসান রিগ্যান নামে এক জঙ্গি। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে রিগ্যান জানিয়েছে, কল্যাণপুরে তাদের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরী নিয়মিত যাতায়াত করত। এ ছাড়াও যাতায়াত করত রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল এবং আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামে আরও অনেকেই। এরা তাদের ধর্মীয় ও জিহাদি কথাবার্তা বলে উদ্বুদ্ধ করত। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়ে যেত।

আইএস-এর বিভিন্ন লেখাপত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যম দাবি করছিল, তামিম চৌধুরীকে বাংলাদেশে তাদের কোঅর্ডিনেটর বা সমন্বয়রক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিল আইএস। এই দাবি অবশ্য মানতে চায়নি বাংলাদেশ পুলিশ।আইজি একেএম শহিদুল হক এক সাংবাদিক সম্মেলনে তামিমকে ‘নব‌্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা বলে চিহ্নিত করে বলেছিলেন, “এখানে (গুলশান হামলায়) মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী। ‘নিও জেএমবি’র নেতৃত্ব দিচ্ছে সে। এই তামিম চৌধুরীর পর যারা এই সংগঠনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রধান তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করেছি।”

তামিম চৌধুরী সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। মজিদ চৌধুরী একাত্তরে ‘শান্তি কমিটি’র সদস্য ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। স্বাধীনতার পরে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান। তামিমের বড় হওয়া কানাডাতেই।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে গুলিতে খতম গুলশন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-সহ ৩ জঙ্গি
পাঁচ বছর আগে বাবাকে চিঠি লিখে ঘরছাড়া তামিম
বাংলাদেশে গুলিতে খতম গুলশন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড-সহ ৩ জঙ্গি

অন্য বিষয়গুলি:

Tamim Chowdhury Gulshan Attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE