প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে খুন করে তাঁরই কবরের পাশে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঘটনা।
শুক্রবার রাতে মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে গুরুতর অবস্থায় তাঁর স্ত্রীর কবরের পাশ থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজন। তাঁকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে দিনই গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মারা যাওয়ার আগে এক চিকিৎসকের কাছে মনিরুল জানিয়েছিলেন, তিনিই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছিলেন। আর সেই অনুতাপেই তিনি কীটনাশক খেয়েছেন।
কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, দু’বছর আগে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইমান আলির মেয়ে তাহমিনার সঙ্গে বিয়ে হয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুলের। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই পন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। এমনকী প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন মনিরুল। এর জেরে সম্প্রতি তাহমিনা তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার মেট্রো রেলের কাজে ফের গতির ডানা
তাহমিনার বাবা জানিয়েছেন, সব কিছু মিটমাট করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনিরুলও তাঁদের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। গত বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুমোতে যান। রাতের কোনও এক সময় মনিরুল তাঁর স্ত্রী তাহমিনার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যান মনিরুল। ময়নাতদন্তের পর তাহমিনাকে তাঁর বাপের বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর পলাতক মনিরুল তাঁর স্ত্রীর কবরের পাশে গিয়ে কীটনাশক খান। গভীর রাতে তাঁর গোঙানি শুনতে পেয়ে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে। ‘মনিরুল তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে যে অপরাধ করেছেন, তাঁর জন্য তিনি অনুতপ্ত ছিলেন। এ কারণে তিনি কীটনাশক খেয়েছেন বলে পুলিশ ও চিকিৎসকের কাছে স্বীকার করেছেন’ বলে আরও যোগ করেন ওসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy