ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই নহিলার শরীর তল্লাশি করে ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া সোনার বারের ওজন সাড়ে চার কিলোগ্রামেরও বেশি। একই বিমানবন্দরে বিকেল ৪টার দিকে একটি উড়োজাহাজ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রায় সাত কেজি সোনা। উদ্ধার হওয়া সব সোনার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। আটক করা হয়েছে জেসমিন আখতার (৩৫) ও পরভিন আখতার (২৫) নামের দুই মহিলাকে। দুই জনের বাড়িই চট্টগ্রাম। এর মধ্যে জেসমিন চট্টগ্রামের গ্লোরি ফ্যাশন নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন। পরভিন একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের মাসকট-চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে চলাচলকারী আরএক্স ৭২৪ বিমানের চট্টগ্রাম থেকে অভ্যন্তরীণ যাত্রী হিসেবে ওই দুই মহিলা যাত্রীর শরীর থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর তাদের ফেসবুক পাতায় জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, চট্টগ্রাম হয়ে ডোমেস্টিক ফ্লাইটে সোনা চোরাচালান হতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভোর থেকে গোয়েন্দারা ডোমেস্টিক আগমনী এলাকায় নজর রাখতে শুরু করেন। মাসকট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আসা ফ্লাইট আরএক্স ৭২৪ সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ অবতরণ করে। অ্যারাইভাল জোনে যাত্রীরা আসার পর শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে ওই দুই মহিলার আচরণ অস্বাভাবিক লাগায় তাঁদের তল্লাশি করা হয়। তাঁদের কাছে সোনা আছে কি না জানতে চাইলে তাঁরা অস্বীকার করেন। পরে তাঁদের আর্চওয়েতে হাঁটিয়ে ও মেটাল ডিটেকটর দিয়ে পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয় গোয়েন্দারা।
আটক ৪০টি সোনার বারের ওজন সাড়ে ৪ কিলোগ্রামের বেশি। দুই মহিলার কাছে ২০টি করে সোনার বার ছিল এবং তা একই কায়দায় লুকানো ছিল। আটক বারের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আটক মহিলাদের জেরা করে জালাল নামের এক ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশ। পরভিনদের দাবি, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চেক ইন করার পর জালাল তাঁদের ওই সোনার বারগুলো দেন এবং তাঁরা বিমানে ওঠার পর শরীরের ভেতর লুকিয়ে ফেলেন। তাঁরা দু’জন প্রথম বারের মতো সোনা বহন করেন বলে দাবি করেন। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন-সহ সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের সি শিফটের সহকারী শুল্ক কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ২০২ ফ্লাইটের একটি সিটের নীচ থেকে সোনা উদ্ধার করা হয়। একটি ব্যাগের ভেতরে ছয়টি স্কসটেপের বান্ডিলে প্রতিটিতে ১০টি করে ৬০টি সোনার বার ছিল। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম করে উদ্ধার করা সোনার বারের ওজন ছয় কেজি ৯৬০ গ্রাম। এর মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy