প্রতীকী চিত্র।
এ যেন নতুন গাড়ি রাস্তায় গড়াগড়ি। গ্যারাজ কোথায়। ঘরের ওয়ার্ডরোবে রুমাল রাখার জায়গা নেই। শাড়ির পাহাড়। মনোবিদের কাছে নাকি এক রোগী ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন, ক্যাটরিনা কাইফকে বিয়ে করতে চান। মনোবিদের সবুর করার পরামর্শ। সে কথা কানে ঢুকলে তো। শেষে বিরক্ত হয়ে ডাক্তারের প্রশ্ন, বিয়ে তো করবেন। এনে রাখবেন কোথায়। বাংলাদেশের জঙ্গিদের এখন সেই হাল হয়েছে। নাশকতা ঘটাবে বলে চোরাপথে অস্ত্র আমদানি করে রাখার জায়গা পাচ্ছে না।
বিক্রেতারা বেচে গছিয়ে দিয়েই খালাস। যত বিক্রি তত লাভ। রাখার ভাবনাটা ক্রেতার। তারা মাথা ঘামাবে কেন। জঙ্গিরাও জব্দ একই কারণে। যে কোনও ভাবে অস্ত্র সংগ্রহে সর্বদা মরিয়া। চাওয়া-পাওয়া চলে ঘড়ি ধরে। যারা বেচছে তারা অস্ত্র পাঠিয়েই নিশ্চিন্ত, সে সব টেনে তুলে গুছিয়ে রাখার ভাবনা তাদের নয়। যাদের দায়িত্ব তারা সামলাবে। জঙ্গিরা যে অস্ত্র পাচ্ছে, রাখতে নাজেহাল হচ্ছে। এক তো ঘর ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়েছে। তার ওপর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যে জায়গা মিলছে সেটা এত ছোট যে সব অস্ত্র সঙ্কুলান অসম্ভব।
বাংলাদেশের জঙ্গি ডেরায় জাল ফেলছে নিরাপত্তা বাহিনী। ধরা পড়ছে জঙ্গি, উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র। জঙ্গিরা পালাতে গিয়েও ব্যর্থ। জঙ্গিদের নতুন কৌশল ফ্যামিলি নিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া। যাতে পুলিশের সন্দেহ না জাগে। স্বামী, স্ত্রী, সন্তানের পরিবার দেখলে বাড়িওয়ালাও নিশ্চিন্ত। সপরিবার যারা ঘর বাঁধে, তারা কখনও অস্ত্র ধরে। পুলিশ হামলায় যখন তাদের মুখোশ খসে, পরিচয়টা স্পষ্ট হয়। বেসুর বেজে ওঠে। শিশু কান্নায় বাতাস ভারী হয়। তারা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকারে তলিয়ে যায়।
জঙ্গিরা জায়গা না পেয়ে জলে ফেলে রাখছে অস্ত্রশস্ত্র। খালে বিলে পুকুরে অস্ত্র বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। গত ২ জুন প্রচুর অস্ত্র মিলেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের দিঘিতে। প্লাস্টিকে মুড়ে পাড়ে গাছের গুঁড়িতে দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। পুলিশের আই জি, কে এম শহিদুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এসব অস্ত্র চিনে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের চোরাবাজার থেকে সংগৃহীত অস্ত্র এক সময় উত্তর-পূর্ব ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকারীদের সরবরাহ করা হয়েছিল। বি এন পি-জামাত সরকারের সময় চট্টগ্রামে জাহাজে এসে নামে প্রচুর অস্ত্র। দশটি ট্রাক বোঝাই করে সে অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের শেষ দেখে ছাড়বেন। বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় নেই। প্রতিবেশী দেশেও তারা স্থানচ্যুত। নিজেদের মাথা গোঁজার রাস্তা নেই। অস্ত্র পেলেও রাখবে কোথায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে লেকে ডুবিয়ে রাখা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy