আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিককে অক্ষত অবস্থায় ফেরানোর দাবিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের আদালতে রবিবার ধর্মঘট পালিত হল। বিশাল একটি মিছিল বের হয় রংপুর শহরে। স্তা ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। ডিসি অফিস ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জঙ্গিদের হাতে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও এবং মাজারের খাদেম রহমত আলি হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন রথীশচন্দ্র। দু’টি মামলাতেই জঙ্গিদের ফাঁসির রায় হয়েছে। জামাতে ইসলামি নেতা রাজাকার এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে সাক্ষ্য দেন রথীশ। ওই মামলাতেও ফাঁসির রায় হয়েছে।
এর পর থেকেই খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন আওয়ামি লিগের রংপুর জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক রথীশ। পুলিশ ও দলের নেতাদেরও তিনি সে কথা জানিয়েছিলেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টেরও অন্যতম জনপ্রিয় নেতা তিনি।
রথীশের স্ত্রী দীপা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে অপরিচিত এক জন তাঁকে ডাকতে আসে। ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলে চড়েই তিনি বেরিয়ে যান। বলে যান, দুপুরে ফিরবেন। কিন্তু বেলা তিনটেতেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় খোঁজখবর শুরু হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করে।
রবিবার আওয়ামি লিগের কর্মীরা রংপুরের রেললাইন ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মানববন্ধন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা। ধর্মঘটী আইনজীবীদের মিছিলে সাধারণ মানুষও যোগ দেওয়ায় তা বিশাল আকার ধারণ করে। জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুর দাবি, ‘‘নির্বাচনের মুখে অস্থিরতা তৈরি করতেই পরিকল্পিত ভাবে রথীশবাবুকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ উনি অসম্ভব জনপ্রিয় নেতা।’’ প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy