শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় তাঁর জনসভার মঞ্চের নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল ৭৬ কেজির একটি বোমা। ৮০ কেজির আর একটি বোমা বসানো হয়েছিল তাঁর হেলিপ্যাডে। ১৭ বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সেই চক্রান্তের জন্য ১০ জনকে প্রাণদণ্ড দিল ঢাকার একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। বিচারক মমতাজ বেগম নির্দেশ দিয়েছেন— ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করতে হবে হরকতুল জিহাদ (হুজি)-এর এই ১০ জঙ্গিকে।
বাংলাদেশে ফাঁসির পাশাপাশি ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রাণদণ্ড কার্যকরের বিধিও রয়েছে। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদেরও ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রাণদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরে উচ্চ আদালত অবশ্য তা বদলে ফাঁসির রায় দেয়।
কোটালিপাড়ার একটি কলেজে ২০০০ সালের ২০ জুলাই জনসভা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানেই তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাণ্ড দু’টি বোমা পুঁতে রেখেছিল জঙ্গি সংগঠন হুজি। এই জঙ্গি সংগঠনের নেতা মুফতি হান্নানের বাড়িও এই কোটালিপাড়ায়।
সে দিন জনসভার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কলেজের এক কর্মী পাশের পুকুরে একটি বৈদ্যুতিক তার ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে সেই তারের সূত্র ধরেই মঞ্চের নীচে পোঁতা বোমাটির হদিশ পায়। এর পরেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তাতে উদ্ধার হয় হেলিপ্যাডের নীচে পোঁতা দ্বিতীয় বোমাটিও। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গোপালগঞ্জ শহরে হান্নানের একটি আড্ডায় বোমা দু’টি বানানো হয়েছিল। সেখানে হানা দিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। হুজি জঙ্গিদের ধরপাকড়ও করা হয়।
২০০৫-এ ধরা পড়ে মুফতি হান্নানও। হামলার মাথা হান্নান সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলার মামলায় প্রাণদণ্ড পাওয়ার পরে সম্প্রতি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তাই এই মামলা থেকে তার নাম বাদ পড়েছে। বাকি ২৪ আসামির ১০ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রাণদণ্ড দেওয়া ছাড়া এক জনকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই খালাসের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। আসামিদের কৌঁসুলি জানিয়েছেন, দণ্ড কমানোর আর্জি জানাবেন তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy