আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় ‘লাল ঝড়’। জনরায় নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনতার রায়ের আঁচ কি আগাম পেয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট? না হলে কেন নির্বাচনের দিনটা জো বাইডেন কাটিয়ে দিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
সাত ‘সুইং স্টেট’-সহ একাধিক প্রদেশে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হতেই ধাক্কা খায় ডেমোক্র্যাটরা। প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়েন কমলা হ্যারিস।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, মঙ্গলের সন্ধ্যা থেকে বাইডেন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন। হোয়াইট হাউসের বাসভবনে আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে নির্জন সন্ধ্যা কাটাচ্ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই নজর রাখছিলেন ভোটের ফলাফলের দিকে।
এক সময় রাজনৈতিক মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। সেনেটর হোক কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসাবে, এক কালে নির্বাচনী উত্তেজনা, জোগাড়যন্ত্রের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। এখন সেই দাপুটে নেতা দেশীয় রাজনীতিতে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তবে, ডেলাওয়্যারের সেনেটর ক্রিস কুন্স বলছেন অন্য কথা। জানাচ্ছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের উপর অগাধ আস্থা বৃদ্ধের। মঙ্গল রাতেও ‘আশাবাদী’ বাইডেনের চোখেমুখে ছিল সেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ। তবে, কমলার সমর্থকেরা বাসভবনের অদূরে মিছিল করলেও একবারের জন্যও ঘর থেকে বেরোননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন বিভিন্ন প্রদেশের ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে, কিন্তু লোকচক্ষুর সামনে আসেননি। এমনকি, তাঁর নাগাল পায়নি সংবাদমাধ্যমও।
চলতি বছরের মাঝামাঝি শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। পরিবর্তে ডেমোক্র্যাট দলের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচিত হন কমলা হ্যারিস। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা সে দেশের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ও মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভোটে জিতলে তিনিই দেশের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হতেন।