(বাঁ দিকে) ২৬/১১ সন্ত্রাসের শিকার তাজ হোটেল। ডান দিকে তাহাউর রানা ( ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত আমেরিকার আদালতের অনুমোদন মেলায় সে দেশের জেলে বন্দি ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানাকে ভারত হাতে পেতে চলেছে। ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চ বাইডেন সরকারের আবেদন মেনে রানার প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রানার আবেদন ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল। সেই বেঞ্চ রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদনে সায় দিয়েছে। প্রত্যর্পণের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে রানার আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আমেরিকার আইন অনুযায়ী বিদেশ সচিব প্রত্যর্পণের নির্দেশনামায় সই করতে পারবেন।
মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। বরং পরবর্তী কালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। যদিও ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তইবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ভারতের।
এর পরে ১৯৯৭ সালের দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতের তরফে আবার আবেদন জানানো হলে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁর প্রত্যর্পণের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগেই ২০০৮ সালের ওই সন্ত্রাসে অভিযুক্ত রানাকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। বাইডেনের সরকারও ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে রানাকে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল আদালতে। শেষ পর্যন্ত সেই আবেদন মেনে নিল আমেরিকার আদালত।