(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন। ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘শান্তি চাইছেন’। এমনটাই মনে করছেন আমেরিকার বিশেষ কূটনীতিক স্টিভ উইটকফ। সোমবার সৌদি আরবের রিয়াধে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রশাসনের। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। তার আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ কূটনীতিকের এই মন্তব্য বৈঠকের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’কে উইটকফ জানান, সোমবারের বৈঠকের বিষয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। রুশ-ইউক্রেন সংঘাত মেটাতে ওই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার কূটনীতিক।
ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে পৃথক পৃথক আলোচনা করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ৩০ দিনের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য দু’দেশকেই প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেন প্রথমেই তাতে রাজি হয়ে যায়। পরে রাশিয়াকেও রাজি করিয়ে নেয় আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া বা ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কোনও আলোচনার টেবিলে বসেনি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে কী উপায়ে তা করা হবে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। ব্রিটেন এবং অন্য ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই চাপানউতরের মাঝে রাশিয়া এবং ইউক্রেন একে অপরের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবারও রুশ ড্রোন হানায় ইউক্রেনে অন্তত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিভের বায়ুসেনা জানিয়েছে, রাশিয়া ১৪৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। পাল্টা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, তারা ইউক্রেনের ৫৯টি ড্রোন হানা ব্যর্থ করেছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কার্যকর কোনও পদক্ষেপের পথ খোলা তো দূর, দু’পক্ষই একে অন্যের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে সোমবার ফের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে আমেরিকা। ক্রেমলিনের দাবি, সৌদি আরবে দু’পক্ষের ওই বৈঠকে কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলে জাহাজের নিরাপদে যাতায়াত নিয়ে আলোচনা হবে।