গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হানা। ছবি: রয়টার্স।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিভঙ্গের পর নতুন করে গাজ়ায় হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। সেই আবহেই শনিবার রাতভর দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিসে বিমানহামলা চালাল ইজ়রায়েলি বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল জ়াজ়িরা সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলায় মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা তথা পলিট ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল এবং তাঁর স্ত্রীও। হামলার সময়ে খান ইউনিসের তাঁবুতে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা।
বারদাউইলের মৃত্যুর পর হামাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘বারদাউইল, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য শহিদদের রক্ত আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে ইন্ধন জোগাবে। শত্রুরা এ ভাবে আমাদের সংকল্প এবং ইচ্ছাশক্তিকে ভাঙতে পারবে না।’’ যদিও এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি ইজ়রায়েল।
গত সপ্তাহে ইজ়রায়েল পুনরায় গাজ়ায় হামলা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত হামাসের বেশ কয়েক জন বরিষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবারও ইজ়রায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওসামা তাবাশ। ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-র তরফে বিবৃতি জারি করে খবরটি নিশ্চিত করা হয়। হামাসের একাধিক সংগঠনের শীর্ষ পদে ছিলেন তিনি। এ বার শনিবার রাতের অভিযানে মৃত্যু হল আর এক হামাস নেতার।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই যুদ্ধে মহিলা এবং শিশু-সহ বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষমেশ গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে। উভয় পক্ষই তাতে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রায় দু’মাসের যুদ্ধবিরতিতে ইতি টেনে গত মঙ্গলবার থেকে গাজ়া ভূখণ্ডে আবার হামলা শুরু করে আইডিএফ। টানা তিন দিনের ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানহানায় ২০০ শিশু-সহ ৬০০ জনেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে স্বশাসিত গাজা কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর। যদিও নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সকল পণবন্দির মুক্তি এবং হামাসের বিনাশ না-করা পর্যন্ত ইজ়রায়েল থামবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।