রসায়নে নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী। ছবি: সংগৃহীত।
রসায়নে নোবেলজয়ী হিসাবে তিন বিজ্ঞানীর নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করল রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য যৌথ ভাবে মনোনীত হয়েছেন আমেরিকার মৌঙ্গি জি বাওয়েন্ডি, লুইস এস ব্রুস এবং অ্যালেক্সি আই একিমভ। বর্তমানে আমেরিকার নাগরিক হলেও বাওয়েন্ডি ফরাসী এবং একিমভ রুশ বংশোদ্ভূত।
বুধবার নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোয়ান্টাম কণা’ (‘কোয়ান্টাম ডট’) আবিষ্কার এবং গবেষণার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কারে তাদের ভূষিত করা হয়েছে। তিন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার ইলেকট্রনিক্স, ন্যানোটেক ক্ষেত্র এবং স্বাস্থ্য গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলেও রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে। অর্ধপরিবাহী ন্যানোক্রিস্টাল ‘কোয়ান্টাম ডট’ প্রথম চিহ্নিত করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক রিড।
ব্রুস এবং একিমভ এর চরিত্র নির্ধারণ এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাওয়েন্ডি আলোকপাত করেছেন রাসায়নিক পদ্ধতিতে এর উৎপাদনে। আশির দশকে একিমভ এবং ব্রুস তামা ক্লোরাইডের ন্যানো পার্টিকেল থেকে পাওয়া কোয়ান্টাম কণা গবেষণায় সাফল্য পেয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকে বাওয়েন্ডি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় নিখুঁত ‘কোয়ান্টাম ডট’ সৃষ্টি করেন।
‘কোয়ান্টাম ডট’ নির্ভর এলইডি বা কিউএলইডি প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার মনিটর এবং টেলিভিশন স্ক্রিন তৈরি করা হয়। এর সাহায্যে উন্নততর এলইডি বাতি তৈরি করা হয়েছে। জৈব টিস্যুর ম্যাপ তৈরিতেও ‘কোয়ান্টাম ডট’ ব্যবহার করা হয়। একিমভ ‘নিউ ইয়র্ক ন্যানোক্রিস্টাল টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেড’-এর প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী। বাওয়েন্ডি বর্তমানে ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট’ (এমআইটি)-এর অধ্যাপক। ব্রুস আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।