ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
একদা ‘আমেরিকা রাষ্ট্রের শত্রু’ এবং ‘ভয়ঙ্কর অপরাধী’দের বন্দি রাখা হত সেখানে। এ বার সেই গুয়ান্তানামো বে কারাগারকে অবৈধ অভিবাসীদের বন্দিশালা হিসাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার ট্রাম্প জানান, গুয়ান্তানামো বে কারাগারে অন্তত ৩০ হাজার বন্দি রাখার উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য সে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতরকে (ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এ ক্ষেত্রে ‘আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার’ যুক্তি দিয়েছেন তিনি। ঠিক যে ভাবে অতীতে বিনা বিচারে আটক রাখার জন্য কিউবা ভূখণ্ডের ওই জেলকে ব্যবহার করা হত, এ বারেও তাই হতে চলেছে বলে আশঙ্কা।
২০০২ সালের জানুয়ারিতে গুয়ান্তানামো বে জেল চালু হওয়ার সময় আমেরিকার তদানীন্তন প্রতিরক্ষা সচিব ডোনাল্ড রামস্ফেল্ড বলেছিলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর অপরাধীদের জন্যই ওই জেল বানানো হয়েছে।’’ তার পর থেকে বারে বারেই সেখানে বন্দিদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অনেকে সেই কারাগারকে নাজ়িদের ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’র সঙ্গে তুলনা করতেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনে আন্দামানের জেলে যে ভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর অত্যাচার চালানো হত, অনেকে তার সঙ্গেও তুলনা করেছেন গুয়ান্তানামো বে জেলে বন্দি অপরাধীদের উপর চালানো অত্যাচারের। ২০০২ সালে ওই জেলে প্রায় ৮০০ অপরাধীকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে বারাক ওবামা ওই জেল বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছিলেন।