US-China Tariff War

চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে ইতি টানার বার্তা দিলেন ট্রাম্প, কী প্রভাব পড়ল আমেরিকার বাজারে?

ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকায় আমদানি হওয়া চিনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এখন ২৪৫ শতাংশ! জবাবে আমেরিকার পণ্যে ১২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ বসিয়েছে জিনপিঙের সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৬
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁ দিকে), চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁ দিকে), চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আপাতত চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে ইতি টানার বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ ‘অনেকটাই কমাতে’ পারে আমেরিকা। কিন্তু সেই সঙ্গেই হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পের ঘোষণা, ‘‘শুল্ক কখনওই শূন্য হবে না।’’

Advertisement

ট্রাম্পের ওই বার্তার পরেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আমেরিকার শেয়ার বাজার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক শক্তির সমঝোতার বার্তার জেরেই বুধবার থেকে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটের পারদ। প্রসঙ্গত, ধাপে ধাপে চিনা পণ্যের উপর শুল্কের বোঝা বাড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় আমদানি হওয়া চিনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এখন ২৪৫ শতাংশ! বিভিন্ন দেশের উপর আমদানি শুল্ক চাপিয়েও ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প।

ওই সময়সীমার মধ্যে কোনও দেশ আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলে দরজা খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ৯০ দিনের এই ‘ছাড়’ পায়নি শুধু চিন। ট্রাম্পের ওই পদক্ষেপের জবাবে আমেরিকার পণ্যে ১২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ বসিয়েছে শি জিনপিঙের সরকার। সংঘাতের এই আবহে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘১৪৫ শতাংশ শুল্ক অনেকটা বেশি হয়ে যায়। এটি যথেষ্ট পরিমাণে কমানো হবে। কমিয়ে এমন একটি জায়গায় নিয়ে আসা হবে, যেটা এত বেশি হবে না। তবে সেটা শূন্যও করা হবে না।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে চিন কী পদক্ষেপ করে, তার উপর পুরো প্রক্রিয়া নির্ভর করবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন