গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কিংবা ২০১৯-এ বালাকোটে বিমানহানার পরেও জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) ওপারে জঙ্গি পরিকাঠামো সক্রিয়। বুধবার একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে প্রকাশিত কয়েকটি খবর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৪২টি ‘লঞ্চ প্যাডে’ অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করছে অন্তত ১১৫ জন জঙ্গি।
৭৭৮ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৩০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গির পাশাপাশি লশকর-এ-ত্যায়বা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদীর গোষ্ঠীর কয়েক জন প্রথম সারির কমান্ডারও রয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি। জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকার সক্রিয় ‘হ্যান্ডলার’দের সঙ্গেও তাদের ধারাবাহিক যোগাযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যেই এলওসি পেরিয়ে অন্তত ৭৫ জন পাকিস্তানি জঙ্গি অনুপ্রবেশ করে নানা নাশকাতমূলক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট জানাচ্ছে। এদের মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ জন জম্মু, রাজৌরি এবং পুঞ্চ অঞ্চলে সক্রিয়। মূলত দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা তাদের নিশানায়। এমনই একটি দল মঙ্গলবার অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্থানীয় দুই জঙ্গির সহায়তায় ২৬ জনকে খুন করেছে তারা।
উরির সেনাশিবিরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জইশ জঙ্গিদের হামলার জবাবে এলওসি পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবার, হটস্প্রিং, লিপা এবং কেল সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডে অভিযান চালিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ‘প্যারা এসএফ’ কমান্ডোরা। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে মানববোমা হামলার পরে ভারতীয় বায়ুসেনা অভিযান চালিয়েছিল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে লশকরের প্রশিক্ষণ শিবিরে। পরবর্তী সময়ে টংধর, নীলম উপত্যকা, কেরান সেক্টরেও এলওসি পেরিয়ে কয়েকটি শিবির ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। পহেলগাঁও-কাণ্ডের পরে কি আবার নতুন অভিযানের পালা?