Donald Trump

আয়কর বাতিলের প্রস্তাব ট্রাম্পের! আমেরিকানদের ধনী করতে শুল্ক চাপাতে চাইছেন বাকিদের উপরে

আমেরিকার নাগরিকদের আরও বিত্তশালী করতে চাইছেন ট্রাম্প। সেই কারণে তাঁদের উপর থেকে আয়কর তুলে দিতে চাইছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আমেরিকানদের ধনী করতে অন্য দেশের উপর শুল্ক চাপাতে চান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১৭
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকানদের বিত্তশালী করতে আয়কর তুলে দিতে চাইছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নাগরিকদের জন্য আয়কর বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বিতাড়িত (ডিপোর্ট) করা থেকে শুরু করে ভিন্‌ দেশকে আর্থিক সহায়তা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সব ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য— আগে আমেরিকার চাহিদা পূরণ হবে, তার পরে অন্যদের বিষয়ে ভাবা হবে। আমেরিকানদের উপর থেকে আয়কর প্রত্যাহারের ভাবনার নেপথ্যেও সেই একই লক্ষ্য। ট্রাম্প মনে করছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা যাবে, যা আমেরিকানদের আরও ধনী করতে তুলবে।

Advertisement

আমেরিকানদের জন্য আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক নিয়ে আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে অনেকেই মনে করছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট চাইছেন আমেরিকানদের উপর থেকে করের বোঝা কমাতে অন্য দেশগুলির উপর কর চাপাতে। সোমবার নিজের বক্তব্যেও সেই আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প। মায়ামিতে রিপাবলিকান শিবিরের এক কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমেরিকার এখন সেই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সময়ে এসেছে, যা আমেদের আগের চেয়েও ধনী এবং শক্তিশালী করতে তুলবে। আমেরিকানদের উপর কর চাপিয়ে অন্য দেশকে ধনী করা রীতি বদলাতে হবে। আমাদের দেশের নাগরিকদের ধনী করতে অন্য দেশের উপর শুল্ক চাপাতে হবে।’’

এই অভিপ্রায়ের কথা গত ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের সময়েও বুঝিয়েছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি বলে আসছেন, ক্ষমতায় এলে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপাবেন তিনি। সম্প্রতি ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলিকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ব্রিকস’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি নিজেদের মধ্যে লেনদেনে ডলারের বদলে অন্য মুদ্রাকে বাছলে বা নতুন মুদ্রা তৈরি করলে আমেরিকায় ঢোকা তাদের সব পণ্যে ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হবে।

অবৈধ অভিবাসীদের কলোম্বিয়া প্রথমে ফেরত নিতে রাজি না হওয়ায় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, কলম্বিয়া থেকে যে যে পণ্য আমেরিকায় যায়, তার উপর জরুরি ভিত্তিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এক সপ্তাহ পরে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৫০ শতাংশ। চাপে পড়ে অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়ে যায় কলম্বিয়া।

Advertisement
আরও পড়ুন