Donald Trump

এখনই মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে রূপান্তরকামীদের বহিষ্কার নয়! ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্থগিতাদেশ আদালতের

গত ২৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের যোগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। সেই আদেশে বলা হয়, এক জন ব্যক্তির ‘লিঙ্গপরিচয়’ নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ থাকলে তা কখনওই সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর মান পূরণ করতে পারে না!

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১০:০৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে আর জায়গা নেই রূপান্তরকামীদের! গত জানুয়ারি মাসে এমনটাই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দিল সে দেশের আদালত। মঙ্গলবার ফেডেরাল বিচারক অ্যানা রেয়েস ট্রাম্পের সেই নির্বাহী আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের এক নিম্ন আদালতের বিচারক অ্যানা একটি রায়ে জানিয়েছেন, সামরিক চাকরি থেকে রূপান্তরকামী সেনাদের বহিষ্কার করার আদেশটি তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রশাসনকে এ বিষয়ে আবেদনের সময় দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেন দ্বারা মনোনীত এই বিচারক। অ্যানার কথায়, ‘‘আমি জানি আদালতের এই রায়ে বিতর্ক তৈরি হবে। তবে একটি সুস্থ গণতন্ত্রে দ্বিমত ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই একমত হওয়া উচিত যে, যাঁরা দেশের সেবা করার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধার যোগ্য।’’ আদালতের এই রায়ে খুশি মামলাকারী ১৪ জন রূপান্তরকামী সেনাকর্মী। সেনার সেকেন্ড লেফ্‌টেন্যান্ট রূপান্তরকামী নিকোলাস ট্যালবটের কথায়, ‘‘আগামী সপ্তাহে সেনাবাহিনী থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হবে কি না, তা জানার জন্য এত দিন প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে অপেক্ষা করছিলাম। এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারলাম। এটাই আমি এত দিন ধরে চেয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে কাজ করা আমার স্বপ্ন ছিল, অনেক কষ্টে এই চাকরি পেয়েছি। সেটাও হারাতে বসেছিলাম।’’

যদিও আদালতের রায়ের পর এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলার বলেছেন, ‘‘বিচারকেরা এখন নিজেদের সেনাবাহিনীর সর্বেসর্বা মনে করছেন! এই উন্মাদনার কি শেষ নেই?’’

প্রসঙ্গত, এর আগে রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই সমস্ত নীতি বদলে ফেলতে উদ্যোগী হন। এমনকি, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রায় ৫০ শতাংশ জুড়ে ছিল সমকামী ও রূপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে প্রচার। ক্ষমতায় এসে প্রথমেই রূপান্তরকামীদের নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। গত ২৭ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে রূপান্তরকামীদের যোগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। সেই আদেশে বলা হয়, একজন ব্যক্তির ‘লিঙ্গপরিচয়’ নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ থাকলে তা কখনওই সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর মান পূরণ করতে পারে না! আমেরিকার পেন্টাগন-কে এক মাসের মধ্যে রূপান্তরকামীদের নিয়ে নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এর পরেই সে দেশের সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি দিয়ে রূপান্তরকামী নিয়োগ বন্ধের কথা জানায়। জানানো হয়, কর্মরতদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন ও সেই সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাও দেবে না মার্কিন সেনাবাহিনী। এ নিয়ে বিস্তর বিতর্কের পর এ বার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন