রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ। ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আপসে যেতেও তিনি রাজি। তবে তার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ ইউক্রেনের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, “দ্রুত অস্ত্র ছাড়ুক ইউক্রেন। নইলে রাশিয়াই সেই ব্যবস্থা করবে।”
লেভরভের এই মন্তব্যকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিন প্রশাসনের মনোভাবের প্রতিফলন বলেই মনে করা হচ্ছে। মস্কো আগাগোড়া দাবি করে এসেছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলা এই যুদ্ধ, শুরু হওয়া এবং দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য ইউক্রেন এবং তাদের ‘মদত’ দেওয়া পশ্চিমি দেশগুলি দায়ী। লেভরভের সাম্প্রতিক মন্তব্যেও এই দাবির প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সরাসরি আমেরিকার নাম করে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আড়ালে এই যুদ্ধ আদতে লড়ছে আমেরিকাই।
দশ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য গোটা বিশ্ব যখন যুযুধান দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আর্জি জানাচ্ছেন, তখন এই যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি ইউক্রেন এবং আমেরিকার ঘাড়েই চাপাতে চেয়েছে রাশিয়া। লেভরভের দাবি, রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য পশ্চিমি শক্তিগুলি ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন কত দিন ধরে এই যুদ্ধ চলবে তা নির্ভর করবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উপরেই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির পরামর্শদাতা মিখাইলো পডোল্যাক পাল্টা বলেছেন, “রাশিয়ার বাস্তবের মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন।” একই সঙ্গে তিনি একটি টুইটে লিখেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেবে। হুমকি দিয়ে, গোপনে ইরানের সাহায্য নিয়ে ইউক্রেনকে ভয় দেখানো যাবে না।” সোমবারই ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুবেলা সংবাদ সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইউক্রেন উদ্যোগ নিতে চায়। তবে তার আগে জ়েলেনস্কি প্রশাসন ‘যুদ্ধাপরাধী’ রাশিয়ার বিচার চায়।