Gautam Adani

আদানি-চুক্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঘোষণা শ্রীলঙ্কারও! বন্দর প্রকল্পের জন্য ঋণ আটকাতে পারে আমেরিকা

শ্রীলঙ্কার পূর্বতন সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বায়ুশক্তি সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সে দেশের নবগঠিত মন্ত্রিসভা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪
গৌতম আদানি।

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের পর এ বার শ্রীলঙ্কা। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ-চুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল দ্বীপরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত বাম সরকার। শ্রীলঙ্কার পূর্বতন সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বায়ুশক্তি সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শ্রীলঙ্কার নবগঠিত মন্ত্রিসভা। এমনটাই জানিয়েছেন সে দেশের সিলোন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের মুখপাত্র ধনুষ্কা পরাক্রমসিঙ্ঘে।

Advertisement

তিনি জানান, আদানি গোষ্ঠীর ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ কতটা হবে, সেটি পরিবেশের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, এই সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে শ্রীলঙ্কার মান্নার এবং পুনেরিনে বায়ুশক্তি কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হচ্ছিল। চুক্তি বাতিল না-হলেও আপাতত এটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরাকুমার দিশানায়েকে। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া একটি বাণিজ্যচুক্তি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও।

রবিবার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, শক্তি এবং খনিজ সম্পদ দফতর বিষয়ক মূল্যায়ন কমিটি একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত চুক্তি খতিয়ে দেখার জন্য আইনি এবং তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য প্রয়োজন। কমিটির প্রধান হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে তাঁরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইনি এবং অনুসন্ধানমূলক সংস্থাগুলির সহায়তা চাইছেন।

অন্য দিকে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একটি বন্দরকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ‘ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন’ (ডিএফসি)। রবিবার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখছে। গত নভেম্বরেই সংস্থাটি বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪,২১৪ কোটি টাকারও বেশি) অর্থসাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ডিএফসি নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অর্থসাহায্য করে থাকে।

সম্প্রতি আমেরিকার আদালত সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ এবং ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে আদানিকে। জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। অভিযোগ, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের মোট ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আদানিরা। ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে তারা আমেরিকার আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে তারা ঘুষের টাকা আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ, যা বেআইনি। ফলে মামলার মুখে পড়েছে তারা। মনে করা হচ্ছে, ‘ঘুষকাণ্ডে’ নাম জড়ানোর পরেই আদানি গোষ্ঠীর প্রকল্পগুলিকে আতশকাচের তলায় ফেলছে বিভিন্ন দেশের প্রশাসন।

আরও পড়ুন
Advertisement