Israel-Hamas Conflict

ইজ়রায়েলের ‘চর’ সন্দেহে গণপিটুনিতে দু’জনের মৃত্যু ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে, দেহ ঝোলানো হল বিদ্যুতের খুঁটিতে

শরণার্থী শিবির থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে উত্তেজিত জনতা। তার পর তাঁদের দেহ বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫০
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তির পর্ব যখন শুরু হয়েছে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে, সেই সময়েই ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের একটি শরণার্থী শিবিরে ইজ়রায়েলের ‘চর’ সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। শরণার্থী শিবির থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে উত্তেজিত জনতা। তার পর তাঁদের দেহ বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি শনিবারের।

Advertisement

বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যালেস্তাইনের একটি জঙ্গি সংগঠন ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ওই শরণার্থী শিবিরে যায়। সেখান থেকে দুই প্যালেস্তিনীয়কে তুলে নিয়ে আসে। ওই জঙ্গি সংগঠনের দাবি, গত ৬ নভেম্বর তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালাতে ইজ়রায়েলি সেনাকে সাহায্য করেছিলেন এই দু’জন। সেই অভিযানে ইজ়রায়েলি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। তার পরই ‘চরবৃত্তির’ সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে ধরে জঙ্গিরা। দ্য টাইমস অফ ইজ়রায়েল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতেরা হলেন হামজা মুবারক (৩১) এবং আজম জুবারা (২৯)। যদিও হামাস এবং ইজ়রায়েল কোনও পক্ষই এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

সমঝোতার পর শুক্রবার থেকে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলও প্যালেস্তিনীয় বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিশর এবং আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ১৩ ইজ়রায়েলি-সহ ২৪ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তার পরিবর্তে ৩৩ শিশু এবং ছয় মহিলা-সহ ৩৯ জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দিয়েছে ইজ়রায়েল। শনিবার ১৩ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্য দিকে, ইজ়রায়েল মুক্তি দিয়েছে ৪২ জন প্যালেস্তিনীয়কে।

রবিবার তাইল্যান্ডের চার নাগরিক-সহ ১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে তারা। প্রাথমিক পর্যায়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং এই সময়ের মধ্যে পণবন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়ার বিষয়টি স্থির হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়-পর্বের সময়সীমা আরও বাড়বে কি না, সে বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ বা ইজ়রায়েল এবং হামাসের পক্ষ থেকে কোনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement