হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ছবি: রয়টার্স।
তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। বিবৃতি দিয়ে এমন দাবি করল স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস। শুধু তিনি একা নন, তাঁর দেহরক্ষীকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও বুধবার সকালে হানিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
হামাসের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বুধবার ভোরে হানিয়ার ডেরায় হামলা চালানো হয়েছিল। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তবে হামাসের দাবি, ইজ়রায়েলই হানিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও এ ব্যাপারে ইজ়রায়েল সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
হামাস এবং ইরান সেনার বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘জিয়োনিস্ট’রা হানিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া।
অতীতে হানিয়ার পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েল সেনার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসেই উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তারা। সেই হামলায় হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় তাঁর তিন পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে হানিয়ার ভাই এবং ভাইপোও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার বলি হয়েছিলেন।
বিগত প্রায় ১০ মাস ধরে গাজ়া ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজ়রায়েল। গাজ়া নগরী কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। আল জ়াজ়িরা-র হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৩৮,৮৪৫। আহত প্রায় ৮৮,২০০। যদিও অন্যান্য সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১,৮৬,০০০ ছাড়িয়ে থাকতে পারে। কবে থামবে মৃত্যুমিছিল, তার কোনও উত্তর নেই।