Los Angeles Hughes Fire

লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরেই নতুন করে আগুন! ৩০ হাজার মানুষকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের

বুধবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরেই নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। পালিসেডেস, ইয়াটনের পর এ বার জ্বলছে শহরের উত্তরের কাস্টাইক হ্রদ-সংলগ্ন এলাকা। এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪
লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুনের চিত্র।

লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুনের চিত্র। — ফাইল চিত্র।

নতুন করে আগুন লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকায়! বুধবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরেই নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। পালিসেডেস এবং ইয়াটনের পর এ বার জ্বলছে শহরের উত্তরের কাস্টাইক হ্রদ-সংলগ্ন এলাকা। সেই আবহে ইতিমধ্যেই ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে উত্তরে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে সান্টা ক্ল্যারিটা শহরের কাছে কাস্টাইক হ্রদ। হ্রদের আশপাশের এলাকা জুড়ে বহু মানুষের বাস। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৮,০০০ একর বিস্তৃত এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকা হাওয়ার কারণে আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে আগুন। শুষ্ক এবং দমকা হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। সেই আবহে এলাকার সমস্ত বাসিন্দাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি ছাড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সাময়িক ভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, মূল্যবান সামগ্রী এবং পোষ্যদের নিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হতে পারে তাঁদের।

ওয়েস্ট কোস্ট এলাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে মূল সড়কের একাংশ। ফলে সড়কপথে ব্যাপক যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কাস্টাইকের পিচেস জেলের জন্যও জারি হয়েছে সতর্কতা। যে কোনও সময় জেলে থাকা ৪,৬০০ বন্দিকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে হতে পারে। সে জন্য তৈরি রয়েছে সারি সারি বাস।

চলতি মাসেই আগুন লেগেছিল সাজানো শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখানে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পালিসেডেসের দিকে আট জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ১৬ জনের দেহ মিলেছে ইয়াটনের দিক থেকে। আগুনে পুড়ে গিয়েছে হাজার হাজার বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। আমেরিকার ইতিহাসে এটিই হয়তো সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে আশঙ্কা করেছেন ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসম। কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ১৩৫ বিলিয়ন ডলারের (সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকা) ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন