গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শান্তি আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল মাস তিনেক আগেই। এ বার পাকিস্তান সরকার এবং সেনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর ঘোষণা করল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। পাক তালিবান গোষ্ঠীর তরফে সোমবার একতরফা ভাবে সংঘর্ষবিরতিতে ইতি টানার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হামলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই পাক সেনাপ্রধান পদে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার শেষ দিন। বুধবার সেনাপ্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনির দায়িত্ব নেবেন। তার আগে পাক তালিবানের এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক এবং সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। গত বছরের অগস্টে আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে টিটিপির সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছিল তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। কিন্তু গত ডিসেম্বরে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়।
এর পর এপ্রিলে ইসলামাবাদে ক্ষমতার পালাবদল হয়। ইমরানকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। জুনে ফের আলোচনা শুরুর পরে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ। কিন্তু অগস্টে দ্বিতীয় দফার বৈঠকও নিষ্ফল হয়। টিটিপির অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাক সেনা একতরফা ভাবে অভিযান শুরু করার ফলেই নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
পাক সংবাদপত্র দ্য ডনের দাবি, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জেনারেল বাজওয়া ২৫০ নম্বর কোরের কমান্ডার এবং অন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে নতুন করে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন’। এই পরিস্থিতিতে পাক তালিবানের ‘যুদ্ধ’ ঘোষণায় আফগান সীমান্তের পাশাপাশি সে দেশের বড় শহরগুলিতে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।