ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় এলে কড়া হাতে শরণার্থী রুখে দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এ বার ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় সম্মতি জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবাম পার্দো। পার্দোর সঙ্গে টেলিফোনে বার্তালাপের পরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট মেক্সিকো থেকে আসা শরণার্থীর ঢল সামলাতে দক্ষিণের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন।’’
পার্দো অবশ্য ট্রাম্পের কথায় তখনই প্রতিক্রিয়া জানাননি। পরে বলেন, ‘‘শরণার্থী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা হয়েছে। তবে সীমান্ত বন্ধ করা নয় বরং দেশবাসীর সঙ্গে সরকারের সেতুবন্ধন করতে চায় মেক্সিকো।’’
ট্রাম্পের অবশ্য দাবি, পার্দোর সঙ্গে তাঁর খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় মাদক পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছিলেন, মেক্সিকো ও কানাডার রফতানিকৃত পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ এবং চিনা পণ্যের উপরে ১০ শতাংশ শুল্ক বসাবেন তিনি।
মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড আজ বলেন, ‘‘ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আসলে আমেরিকাবাসীর পায়েই কুড়ুল মারবে। এর ফলে আমেরিকায় প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ কাজ হারাবেন।’’ একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, বহু আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মেক্সিকোর কারখানায় তাদের গাড়ির যন্ত্রাংশ বানায়। মেক্সিকোয় তৈরি পিক-আপ ট্রাকের বিরাট বাজার রয়েছে আমেরিকায়। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির জেরে আমেরিকায় ট্রাকের দাম গাড়িপিছু ৩ হাজার ডলার করে বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমেরিকান ক্রেতারাই।