(বাঁ দিক থেকে) দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
দফায় দফায় বৈঠক। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে ‘মহাজুটি’র তিন শরিক দলের নেতারা। তবু শুক্রবার সকালেও স্পষ্ট হল না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন দেবেন্দ্র ফডণবীস, একনাথ শিন্ডে, অজিত পওয়ারেরা। বৈঠকে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং এনসিপি (অজিত) নেতা প্রফুল পটেলও।
বৈঠকের পর শিবসেনা প্রধান শিন্ডে বলেন, “ভাল এবং ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আমরা অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার সঙ্গে আলোচনা করলাম।” শিন্ডে জানান, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা স্থির করতে মুম্বইয়ে আরও একটি বৈঠক হবে। বিজেপি সূত্রে খবর, শাহি বৈঠকে মূলত মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় দলের অন্তত ১২ জনকে রাখার আর্জি জানিয়েছেন শিন্ডে। ওই সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে বিজেপির ২০ জন এবং এনসিপি (অজিত)-র ১০ জন মন্ত্রী হবেন।
এই আবহে নানা জল্পনা ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে নাকি ফডণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। আরও একটি সূত্রের দাবি, ফডণবীস মুখ্যমন্ত্রী হলে স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতে রাখতে পারেন। অর্থ দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন অজিত। শিন্ডেসেনার হাতে কোন কোন দফতর যাবে, তা কোনও সূত্রে উল্লেখ করা হয়নি।
শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে এলে তাঁকে কী ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ দেওয়া হবে, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। কারও কারও দাবি, শিন্ডেকে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে। আবার কারও দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই করে দেওয়া হবে তাঁকে। তবে এই সবের মাঝে শিন্ডে মুম্বইয়ে আরও এক বৈঠকের কথা জানিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন। ঘটনাচক্রে, শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর অজিত এবং ফডণবীস মুম্বই ফিরে এলেও এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন শিন্ডে।