জনরোষে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা। ছবি: রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালানোর পরই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। জনরোষ উপেক্ষা করেই বুধবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন তিনি। গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে আপাতত মলদ্বীপে রয়েছেন।
গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালানোর পরই বিক্রমসিঙ্ঘে যে প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব সামলাবেন, সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাই তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বিক্রমসিঙ্ঘে যেন কোনও ভাবেই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব না নেন। শুধু তাই-ই নয়, স্থানীয় সময় দুপুর ১টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে। না হলে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে দেশের পরিস্থিতি। কিন্তু সেই সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই জনরোষের মধ্যেই বুধবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে। আর তার পরই গোটা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন তিনি।
#WATCH Military personnel use tear gas shells to disperse protestors who scaled the wall to enter Sri Lankan PM's residence in Colombo pic.twitter.com/SdZWWRMwTn
— ANI (@ANI) July 13, 2022
শ্রীলঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে আবার নতুন করে জনরোষের ছবি। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলতেই দফায় দফায় সেনা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পাশাপাশি লাঠিচার্জও করা হয়। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পাঁচলি টপকে তাঁরা ঢুকে পড়েন।
অন্য দিকে, পার্লামেন্টের উদ্দেশেও মিছিল করে যান বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু পার্লামেন্টের ২০০ মিটার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।