হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস। —ফাইল চিত্র।
জাতিগত সম্প্রদায় হিসেবে আমেরিকায় সংখ্যালঘু ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। তাঁদেরই ছ’জন ১১৯তম হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস-এর সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন শনিবার। এত জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক সঙ্গে এই প্রথম আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন। এ দিকে, বাণিজ্যিক নথি জাল করে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা ১০ জানুয়ারি। তার দশ দিন পরেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তবে ওই মামলায় আপাতত তাঁর কারাবাসের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এই প্রথম আমেরিকার কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুভাষ সুব্রহ্মণ্যম। ভার্জিনিয়া প্রদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এ দিন শপথ নিয়ে সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আজ কাজের প্রথম দিন! #১১৯তম কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পেরে আমি গর্বিত।’
এই নিয়ে সপ্তম বার কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য অমি বেরা। এ দিন ওই ছয় সদস্যের ছবি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘১২ বছর আগে যখন প্রথম শপথ নিয়েছিলাম, তখন আমেরিকান কংগ্রেসের একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য ছিলাম আমি। আর এখন আমাদের ছ’জন সদস্য রয়েছেন! আগামী দিনে আরও ভারতীয় বংশোদ্ভূত যোগ দেবেন কংগ্রেসে, এমনই আশা রাখছি।’ প্রসঙ্গত, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে এ দিন শপথ নিয়েছেন তিনি। পঞ্চম বার শপথ নিয়েছেন রো খন্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি, এবং প্রমিলা জয়পাল। এ ছাড়াও শপথ নেন শ্রী থানেদার।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তোলা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই তাতে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঝড় উঠেছে। গত কয়েক দিনে আমেরিকার কয়েকটি মহলে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। সেই সূত্রেই এ দিন অনেকেই তাঁদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তাঁদের ‘আমেরিকা-বিরোধী’, ‘পদত্যাগ করে বাড়ি যান’ বলেও সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করেছেন এই ভারত-বিরোধীরা।
অপর দিকে, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় যে মামলা চলছে, তাতে ১০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা। তার দশ দিন আগে আগে এই রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে নানা মহল। বিচারপতি জুয়ান মার্চান জানিয়েছেন, ১০ জানুয়ারির শুনানিতে ট্রাম্প সশরীরে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন।