social media platform X

‘এক সপ্তাহের মধ্যে এক্সের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলুন’! পাক সরকারকে নির্দেশ সিন্ধ হাই কোর্টের

প্রধান বিচারপতি আকিল আহমেদ আব্বাসি সরকারি আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘আপনারা তুচ্ছ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? গোটা বিশ্ব তো আমাদের নিয়ে হাসছে!’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৪

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার)-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য পাকিস্তান সরকারকে নির্দেশ দিল সিন্ধ হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।

Advertisement

শাহবাজ সরকার মঙ্গলবার এক্স নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বুধবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় ‘মাইক্রো ব্লগিং সাইট’টির অপব্যবহার রুখতেই এই পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জানায়, এক্স দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনে ব্যর্থ। পাক সরকারের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে সে দেশের বিভিন্ন আদালতে। সে রকম একটি মামলাতেই বুধবার বিকেলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় সিন্ধ হাই কোর্ট।

ইসলামাবাদ হাই কোর্টে দায়ের করা এমনই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, অপব্যবহারের কারণে এক্স-কে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব খুররম আগা স্বয়ং হাজির ছিলেন সেই শুনানি পর্বে। সিন্ধ হাই কোর্টেও একই যুক্তি দিয়েছিল শাহবাজ সরকার। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আকিল আহমেদ আব্বাসি তা খারিজ করে বলেন, ‘‘আপনারা তুচ্ছ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? গোটা বিশ্ব তো আমাদের নিয়ে হাসছে!’’

প্রসঙ্গত, গত বছর দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারি, পাক সরকারের কার্যকলাপে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি এবং জালিয়াতি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে এক্সে নানা অভিযোগ তুলেছেন পাক নাগরিক সমাজের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নানা ‘জনবিরোধী’ পদক্ষেপ, এমনকি ইসলামাবাদের বালুচিস্তান নীতি নিয়েও খোলাখুলি সমালোচনা হয়েছে ওই সমাজমাধ্যমে। তারই পরিণতিতে এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর কর্ণধার ইলন মাস্ক টুইটারের নাম বদল করেছিলেন। পরিচিত নীল পাখিকে সরিয়ে সমাজমাধ্যমটির লোগোয় স্থান করে নিয়েছিল কালোর উপরে সাদা অক্ষরে লেখা ‘এক্স’। সে সময়ই ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান-সহ কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। এর ফলে সমাজমাধ্যমটিতে ‘আপত্তিকর পোস্ট’ বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছি তারা। যদিও পাকিস্তানের নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করছে ‘বিরোধী স্বরের’ কণ্ঠরোধ করার উদ্দেশ্যেই শাহবাজ সরকারের এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন
Advertisement