আবার নেপালে বিমান দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত।
আবার বিমান দুর্ঘটনা নেপালে। বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সূর্য এয়ারলাইনসের একটি বিমান ‘টেক অফ’-এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগুন ধরে যায় ক্রু এবং যাত্রী-সহ মোট ১৯ জনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা ওই বিমানটিতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিমানটি। ছুটে আসেন বিমানবন্দরের কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের পরিষেবা।
বুধবার সকালে যখন ওই বিমানটি যাত্রা শুরু করে তখন আবহাওয়া খারাপ ছিল। ‘টেক অফ’-এর খানিক ক্ষণ পরেই আগুন ধরে যায় যাত্রিবাহী বিমানটিতে। সকাল ১১টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিআইএ-এর মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর। তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তাতে বিমানে থাকা বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধার করা গিয়েছে বিমানচালককেও। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দমকলকর্মী এবং পুলিশ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, বিমানচালক মণীশ শাক্যকে সঙ্কটজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিনামঙ্গলের একটি হাসপাতালে। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর, অন্তত ১৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
Plane crashes during takeoff at Tribhuvan International Airport in Kathmandu. Updates to follow. #Kathmandu #PlaneCrash #Nepal pic.twitter.com/XFpMbQwAGR
— Sarkarihelpline.com (@SarkariHelpline) July 24, 2024
সাউথ এশিয়া টাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রানওয়ে থেকে পিছলে যায় বিমানটি। তাতেই এই বিপত্তি ঘটে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
#WATCH | Plane crashes at the Tribhuvan International Airport in Nepal's Kathmandu. Details awaited pic.twitter.com/tWwPOFE1qI
— ANI (@ANI) July 24, 2024
২০১০ সাল থেকে একের পর এক বড় বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে নেপালে। গত ১৪ বছরে অন্তত ১২টি এমন দুর্ঘটনা রয়েছে, যাতে অনেক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। তার সঙ্গে যোগ হল বুধবারের বিমান দুর্ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি বিমান ওড়ার পরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগুন ধরে গিয়ে পোখারায় পড়ে বিমানটি। সব মিলিয়ে ৭২ জন ছিলেন ওই বিমানটিতে। তাঁরা সবাই মারা যান।