রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি রাশিয়া। খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাকি এমনই আশ্বাস দিতে চান তাঁর ‘বন্ধু’ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সম্প্রতি
সংবাদমাধ্যমে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন পুতিন।
প্রতি বছর রুশ প্রেসিডেন্ট সরকারি টিভি চ্যানেলে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দেন। গত কাল সেই অনুষ্ঠানে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চান। এ-ও দাবি করেন, বহু বছর হল ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়নি তাঁর। এর পরেই পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দু’জনের কথা হলে তিনি কী জানাবেন? কী প্রস্তাব দেবেন? এর জবাবে পুতিন বলেন, ‘‘সব সময়েই বলেছি, আলোচনা ও সমঝোতার জন্য আমরা প্রস্তুত।’’ তিনি জানান, ইউক্রেন নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের যা লক্ষ্য ছিল, সেটা পূরণ হওয়ার মুখে। পুতিনের কথায়, ‘‘আমার মতে, যে সব ইউক্রেনীয় যুদ্ধ করতে চান, সেই সংখ্যাটা শীঘ্রই ফুরিয়ে যাবে। কেউ আর যুদ্ধ করতে চাইবে না। আমরা আলোচনায় প্রস্তুত, তবে উল্টো দিকের লোকজনকে বুঝতে হবে। তাদেরকেও সমঝোতা করতে হবে।’’
পুতিন এ-ও জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তিনি কোনও শর্ত রাখতে চাইছেন না। গত মাসেও তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে তিনি স্পষ্ট করে দিতে চান, যে জমি তাঁরা দখল করেছেন, তাতে ছাড় হবে না। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের নেটোয় যোগ দেওয়ার উচ্চাশাও ছাড়তে হবে।
পুতিনের এই ‘ভোলবদলে’ অনেকেই ট্রাম্পের হাতযশ দেখছেন। আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোট-প্রচারের সময় থেকেই দাবি করে আসছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। যে কোনও চুক্তি করার বিষয়ে ট্রাম্পকে বলা হয় ‘স্বঘোষিত গুরু’। ১৯৮৭ সালে তিনি একটি বই লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প: দ্য আর্ট অব দ্য ডিল’। ফলে ট্রাম্পের বার্তা ও পুতিনের আশ্বাসকে বেশ অর্থপূর্ণ ভাবে দেখছেন কূটনীতিকেরা।