Russia

Russia Ukraine War: হাতে ১৪ দিন, হয় শান্তি চুক্তিতে সই, না হলে আত্মসমর্পণ করুন! কড়া বার্তা জেলেনস্কিকে

যুদ্ধের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করলেন ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিম দিকের প্রতিবেশী তথা মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বললেন, ‘‘এই যুদ্ধে রাশিয়ার হার হবে ভাবছেন যাঁরা, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। বরং ইউক্রেনকে স্থির করতে হবে, তারা কাদের পক্ষে।’’

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মিনস্ক শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ১৬:২৮

ফাইল ছবি।

হাতে আর সপ্তাহ দু’য়েক সময়। হয় শান্তি চুক্তিতে সই করতে হবে জেলেনস্কিকে অথবা আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় থাকবে না ইউক্রেনের সামনে। বলছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। একটি জাপানি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন লুকাশেঙ্কো।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। রাশিয়ার বাহিনী ক্রমেই এগোচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের দিকে। সর্বস্ব ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনের পশ্চিম দিকে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়া সীমান্তে মানুষের লম্বা লাইন। সকলেই চাইছেন দেশান্তরী হয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে বাঁচতে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে প্রতিরোধ জারি রেখেছে ইউক্রেনের সেনা। তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে আমেরিকা ও পশ্চিম বিশ্বের একাধিক দেশ। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করলেন ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিম দিকের প্রতিবেশী তথা মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

Advertisement

সম্প্রতি একটি জাপানি টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিবিএস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেনকে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। আমি খুব ভাল ভাবে জানি, প্রস্তাবটি সব দিক থেকেই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি সমঝোতায় পৌঁছাক, এটা আজও সম্ভব। জেলেনস্কিকে শুধু এই প্রস্তাবে সই করতে হবে। কিন্তু যদি জেলেনস্কি সই করতে অসম্মত হন, তা হলে বিশ্বাস করুন, তাঁকে ক’দিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণের নথিতে সই করতে হবে। কারণ রাশিয়া এই যুদ্ধে হারছে না, তা এক রকম নিশ্চিত।’’

এ দিকে মস্কোয় সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়া থেকে আলাদা বলে মনে করেন না। ইউক্রেনকে যদি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়, তা হলে তা রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রেক্ষিতেই করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement