রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল চিত্র।
আশপাশের কয়েকটি ছোট জনপদ দখল করা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ বার পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুট ঘিরে আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল রাশিয়া। ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকার এই গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের লড়াইয়ে রুশ ফৌজের পাশাপাশি, মস্কো-পন্থী ভাড়াটে মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াগনারের যোদ্ধারাও অংশ নিয়েছেন বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি।
ইউক্রেন সেনার তরফেও বুধবার জানানো হয়েছে, বাখমুটের পরিস্থিতি গুরুতর। যুদ্ধের আগে এই শহরে ছিল ৭০ হাজারের বেশি মানুষের বাস। কিন্তু কয়েক মাসের লড়াইয়ে এখন শহরটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবস্থানগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুট দখল করতে পারলে রুশ বাহিনীর পক্ষে ডনেৎস্ক অঞ্চলের অন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রামাতোরস্ক এবং স্লোভিয়ানস্ক দখলের পথ খুলে যাবে।
ফেব্রুয়ারির গোড়ায় তীব্র লড়াইয়ের পর ইউক্রেন ফৌজের হাত থেকে বাখমুটের শহরতলি ব্লাহোডৎনে দখল করে রুশ সেনা। এর পর থেকেই বাখমুটের পতনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই ডনেৎস্ক এলাকার গুরুত্বপূর্ণ শহর সোলেদার দখল করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। ওই এলাকার আর দু’টি শহর, ভুহলেদর এবং ক্রামাতোরস্কের দখল ঘিরেও দু’পক্ষের লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাখমুট হাতছাড়া হলে গোটা ডনবাস এলাকা জুড়ে জ়েলেনস্কি বাহিনীর প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীকে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী মস্কোর ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসা ইউক্রেনের একটি ড্রোনকে গুলি নামিয়েছিল রুশ বাহিনী। দক্ষিণ সীমান্তে আরও দু’টি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়। তার পরেই পুতিনের এই সতর্কবার্তা।