আসিয়ান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।
উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলিও যাতে কোভিডের টিকা পায়, তার জন্য তিন বছর আগে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আবেদন জানিয়েছিলে তিনি। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভারত-আসিয়ান শীর্ষবৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পূর্ব এশিয়ার ‘কণ্ঠস্বর’ আরও জোরালো করার কথা বললেন। ঘটনাচক্রে, নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষবৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই।
এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রগোষ্ঠী আসিয়ানের সদস্যদেশগুলিতে প্রায় ২০০ কোটি মানুষের বাস। চিন, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ এই গোষ্ঠীর সদস্য। মনমোহন সিংহের প্রধানন্ত্রিত্বের সময়ই ‘লুক ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করে আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিল নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত সমর্থন করে। শুধুমাত্র আর্থিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের মধ্যে আসিয়ানকে সীমাবন্ধ না রেখে আসিয়ানকে বিশ্বের উন্নয়নে বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মোদী বলেন, ‘‘একবিংশ শতক এশিয়ার শতক। অতিমারি পরিস্থিতিতেও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’’
পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গোষ্ঠী আসিয়ান এবং ভারতের বার্তালাপের পাশাপাশি, জাকার্তায় হবে পূর্ব এশিয়ান সম্মেলন। সেখানে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে থাকবেন চিন, আমেরিকা, জাপানের প্রতিনিধিরাও। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করবেন না। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর ফেরার তাড়া রয়েছে। তাই তাঁর অনুরোধেই সন্ধ্যায় নির্ধারিত পূর্ব এশিয়ান সম্মেলনকে দুপুরে এগিয়ে আনা হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর।
কূটনৈতিক মহলের খবর, চিনকে চাপে রাখতে এ বার আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বিশেষ নজর দিয়েছে মোদী সরকার। সদ্যপ্রকাশিত মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি, পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ এককাট্টা হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অভিযোগ, নিজেদের মানচিত্রে অন্য দেশের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে ভৌগোলিক সম্প্রসারণবাদের বার্তা দিয়েছে বেজিং।