কেপি শর্মা ওলি। —ফাইল চিত্র।
নেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন বালুয়াতারে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন। নেপালি কংগ্রেসের প্রধান হুইপ শ্যাম কুমার ঘিমিরের মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি এবং সংসদ ও সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং প্রধান বিরেধী দল সিপিএন-এর চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড-র মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পর এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের পরিচালক পদ থেকে কুলমান ঘিসিংকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বুধবার থেকে বিরোধী দলগুলি নেপালি পার্লামেন্ট অধিবেশনে বাধা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে বৈঠকে রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা হতে পারে। সেই সঙ্গে শুক্রবারের রাজতন্ত্রীদের বিক্ষোভের বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। রাজতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নেপালের হিন্দু রাষ্ট্রের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে এই বিক্ষোভ সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষ উভয়েরই নিন্দা কুড়িয়েছে। প্রজাতন্ত্রে আস্থা রাখা সব দলই বিক্ষোভে হিংসার সমালোচনা করেছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং সরকারকে ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
ইতিমধ্যেই কাঠমান্ডুর নগর পুলিশ প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহর বিরুদ্ধে নেপালি মুদ্রায় ৭ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে। শুক্রবারের আন্দোলনে হিংসার কারণে যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তারই একাংশের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার পুলিশের একটি দল জ্ঞানেন্দ্রকে এ ব্যাপারে নোটিস দিতে গেলে তাদের অবশ্য জ্ঞানেন্দ্রর বাসভবন নির্মল নিবাসের দরজা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এ বার ডাকযোগে ওই নোটিস পাঠানোর কথা ভাবছে। নাগরিক সমাজের একাংশের মধ্যে জ্ঞানেন্দ্রকে গ্রেফতারের দাবিও দানা বাঁধছে।