‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের’ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। — ফাইল চিত্র।
কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোনও পক্ষ হতে পারে না। কারণ, তারা অবৈধ ভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ দখল করে রেখেছে। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের’ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা।
রাজা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘ব্রিটিশ শাসকের ভারতভুক্তি আইন মেনে বিভিন্ন রাজন্যশাসিত রাজ্য ভারত বা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সে ভাবেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজা ভারতে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তান পরে কিছু অংশ জবরদখল করেছিল। তাই তাদের কোনও ভাবেই কাশ্মীর বিতর্কের ক্ষেত্রে কোনও ‘বৈধ পক্ষ’ বলে মেনে নেওয়া যায় না। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য শুধুমাত্র দু’টি বৈধ পক্ষ রয়েছে— অখণ্ড জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং ভারত সরকার।’’
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পাশাপাশি অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে পাক দখলদারির বিরুদ্ধে সরব হন রাজা। তিনি বলেন, ‘‘অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের উপর দখলদার পাক বাহিনী পশুর মতো অত্যাচার চালাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ জমানায় ‘রাজন্যশাসিত রাজ্য’ জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তান। পাকিস্তান ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশের পাশাপাশি ওই অঞ্চলটিও দখল করে। মুজফ্ফরাবাদকে ‘রাজধানী’ ঘোষণা করে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশকে ‘আজাদ’ তকমা দেয় পাকিস্তান। কিন্তু গিলগিট-বালটিস্তানকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের নিয়ন্ত্রণে না এনে ‘ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্টারড্ নর্দার্ন এরিয়া’ নাম দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।