সুচির বালাজি। —ফাইল চিত্র।
ওপেনএআই-এর সত্যসেনানী (হুইসলব্লোয়ার) সুচির বালাজি আত্মঘাতী হননি, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী স্যাম অল্টম্যানের সংস্থা ওপেনএআই-ই। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন সুচিরের মা পূর্ণিমা রাও। তবে ওপেনএআই-এর তরফে এ দিন একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বছর ২৬-এর ওই যুবকের মৃত্যুতে তারা ‘গভীর ভাবে শোকাহত’। এ-ও জানানো হয়েছে, সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে তারা। প্রয়োজনে সব রকম ভাবে পুলিশকে সাহায্যও করা হবে।
গত ২৬ নভেম্বর সান ফ্রান্সিসকোতে নিজের ফ্ল্যাট থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট, ওপেনএআই-এর প্রাক্তন গবেষক সুচির বালাজির দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানান, সুচির আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে সে কথা মানতে নারাজ তাঁর মা, পূর্ণিমা রাও। গত সপ্তাহে তিনি অভিযোগ করেন যে, ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ ছিল সুচিরের কাছে। সেই কারণেই জন্মদিনের পরের দিন তাঁকে খুন করা হয়। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগের দিনই তার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। আর কী ভাবে বোঝাতে পারি যে আমার ছেলে খুশি ছিল?’ পূর্ণিমা তাঁর সাক্ষাৎকারে আরও অভিযোগ করেছেন যে, ওই দিন সুচিরের দেহ উদ্ধার হলেও বেশ কিছু নথি তাঁর ঘর থেকে নিরুদ্দেশ ছিল। তাঁর দাবি, ওপেনএআই এই ঘটনার তদন্তকে ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ‘সত্যি কথা বলতে কেউ রাজি নয়। কৌঁসুলিদের দিয়েও বলানো হচ্ছে যে এটা আত্মহত্যার ঘটনা।’
পূর্ণিমার এই অভিযোগের পরেই শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ওপেনএআই। তাতে লেখা, ‘সুচির বালাজি টিমের এক মূল্যবান সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। পুলিশকে যে কোনও রকমের সহায়তা করতেও আমরা প্রস্তুত। এই ক্ষেত্রে আইনের উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে’। এর পরেই ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সুচিরের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে তারা এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করবে না।
প্রসঙ্গত, চার বছর কাজ করার পরে ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে পদত্যাগ করেন সুচির। তার পরেই সংস্থাটির কপিরাইট লঙ্ঘন ও বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে সরব হন তিনি। এ-ও বলছিলেন, ‘‘আমার যা সন্দেহ, তা যদি বিশ্বাস করেন, তা হলে ওই সংস্থা ছেড়ে বেরিয়ে যান।’’ নেটমাধ্যমে তাঁর এই অভিযোগগুলি ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় সুচিরের।