Aung San Suu Kyi

মায়ানমারের নেত্রী সু চিকে আরও তিন বছর জেলের সাজা! এ বার রাষ্ট্রের ‘গুপ্ত কথা’ ফাঁসের অপরাধে

২০২০ সালে সু চির রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মায়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু ২০২১ সালে সে দেশের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটায়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইয়াঙ্গন শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১২
ফের জেলের সাজা সু চির।

ফের জেলের সাজা সু চির। ফাইল চিত্র।

মায়ানমারের প্রাক্তন শাসক তথা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের নেত্রী আং সান সু চিকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সে দেশের আদালত। দুর্নীতির পরে এ বার ‘রাষ্ট্রের গোপন কথা ফাঁস করার অপরাধে’। সু চির পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সিয়ান টার্নেলকেও তিন বছরের জেলের সাজা দিয়েছে সেনাশাসিত মায়ানমারের আদালত।

চলতি বছরের এপ্রিলে মায়ানমারের একটি আদালত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত ‘স্টেট কাউন্সিলর’ সু চিকে পাঁচ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। এর পর ৭৭ বছর বয়সি নোবেলজয়ী নেত্রীকে দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন-সহ একাধিক মামলায় মোট ছ’বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

২০২০ সালে সু চির রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মায়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় সে দেশের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতাচ্যুত করে। সু চি ও তাঁর সহযোগী নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একের পর এক মামলা। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী এবং আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সু চিকে অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিকে বৈধতা দিতেই এই পদক্ষেপ সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের।

আরও পড়ুন
Advertisement