গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
লক্ষ্য সীমান্ত সুরক্ষা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন। সেই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার রাতে টেকনাফ সীমান্তে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির মধ্যেই এ কথা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনূসের বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গত মাসে টেকনাফ সীমান্ত থেকে তিন দফায় ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অপহরণ করার পরে সীমান্তে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। কিন্তু ধারাবাহিক আলোচনার পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ সেনা এবং বিজিবি। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। আর গত দেড় বছরের যুদ্ধে তার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মির প্রভাববৃদ্ধি প্রসঙ্গে খলিলুর বলেন, ‘‘যে দিন আরাকান আর্মি সীমান্তে তাদের পতাকা উত্তোলন করেছিল, সে দিনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি নতুন বিশ্ব। ফলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।’’ বিদ্রোহীদের পাশাপাশি জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক জুন্টার সরকারের সঙ্গেও ঢাকা যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ডিসেম্বরে মংডু, বুথিডং, পালেতাওয়ার শহর-সহ মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। রাখাইন প্রদেশের সঙ্গেই রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত। শনিবার ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত আছে।’’