Muhammad Yunus

হাসিনার বোনঝির ব্যবহৃত সম্পত্তি কি ‘ডাকাতি’ করে পাওয়া? ব্রিটেনের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চান ইউনূস

শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপের ফ্ল্যাট-বিতর্ক তদন্ত করে দেখুক ব্রিটেনের সরকার। যদি ওই সম্পত্তি ‘ডাকাতি’ করে অর্জিত হয়, তবে বাংলাদেশকে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৭
(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা, (মাঝে) টিউলিপ সিদ্দিক এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা, (মাঝে) টিউলিপ সিদ্দিক এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিকের বিনা পয়সায় ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ব্রিটেনে। এ বার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেন সরকারের তদন্ত করা উচিত বলে মত তাঁর। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ‘সানডে টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা তথা ব্রিটেনের লেবার পার্টির সাংসদ টিউলিপ। সে দেশের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতেও রয়েছেন। কিয়ের স্টারমারের সরকারের এক জন মন্ত্রী (সিটি মিনিস্টার) তিনি। আর্থিক বেনিয়ম রোধের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর উপর। এই অবস্থায় বিনা পয়সার ফ্ল্যাট বিতর্কে নাম উঠে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছেন হাসিনার বোনঝি। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস জানান, হাসিনা-ঘনিষ্ঠদের লন্ডনের সম্পত্তিতে থাকার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষমা চাওয়া উচিত টিউলিপের। তিনি বলেন, “টিউলিপের ব্যবহার করা সম্পত্তিগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ওই সম্পত্তি ‘ডাকাতির’ মাধ্যমে অর্জিত হয়ে থাকলে তা সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত।”

সম্প্রতি লন্ডনে টিউলিপের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর থেকে তিনি বিনামূল্যে ওই ফ্ল্যাটটি নিয়েছেন। তা নিয়ে নীতি- বহির্ভূত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসিনার বোনঝির বিরুদ্ধে। সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি দাবি করা হয়, আব্দুল মোতালিফ নামে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন টিউলিপ। ব্রিটিশ সরকারের জমি ও আবাসন দফতরের ‘মালিকানা হস্তান্তর নথি’ প্রকাশ করে ওই খবরে দাবি করা হয়, মোতালিফের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা গ্রহণের বিনিময়ে কোনও অর্থ দিতে হয়নি টিউলিপকে।

রেহানার অপর কন্যা আজমিনা সিদ্দিকও এমন একটি বিনা পয়সার ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটিও এক সময়ে ব্যবহার করেছেন টিউলিপ। নীতি-বহির্ভূত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপের ইস্তফার দাবিও তুলেছেন ব্রিটেনের টরি পার্টির সাংসদেরা। যদিও হাসিনার তৎকালীন সরকার কিংবা তাঁর দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন টিউলিপ। তাঁর কথায়, “আমি লেবার পার্টির সাংসদ। ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সদস্য। মনে রাখবেন, আমি বাংলাদেশি নই। আপনারা যাঁদের বিষয়ে কথা বলছেন, তাঁদের বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।”

তবে ইউনূসের মন্তব্যের পর ব্রিটেনে বিরোধী শিবির আবারও সরব হয়েছে টিউলিপের বিরুদ্ধে। তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের উপর চাপ তৈরি করছেন কনজারভেটিভ দলের নেতারা।

Advertisement
আরও পড়ুন