Sheikh Hasina

হাসিনাকে ফেরানো দিল্লির হাতে: তৌহিদ

হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি আদালতে শত শত খুনের মামলা করা হয়েছে। তাঁর আমেরিকা প্রবাসী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৯
শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের আদালত চাইলে দেশ ছেড়ে যাওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য তৎপরতা শুরু করতে পারে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ এই খবর জানান। হাসিনা এখন দিল্লিতে ভারত সরকারের আশ্রয়ে রয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “দু’দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ভারত দেবে কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।”

Advertisement

হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি আদালতে শত শত খুনের মামলা করা হয়েছে। তাঁর আমেরিকা প্রবাসী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে না— আজ বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে। বর্ষীয়ান কূটনীতিক, দিল্লিতে হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলেও একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে। ফেরত আনার বিষয়টি কী ভাবে হবে, আমি ঠিক জানি না। তবে আমাদের আদালত চাইলে আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনার বিষয়ে চেষ্টা করতে পারি।” এর পরেই তিনি জানান, যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই।

বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার পরে তিনি কী হিসেবে ভারতে অবস্থান করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ উপদেষ্টা বলেন, “এটি বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞাসা করুন।” তৌহিদ জানান, এ বার ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বাংলাদেশে চলা ভারতের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থমকে গিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছু সমস্যা ছিল। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এখন আস্তে আস্তে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। যে প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলি শেষ করতে হবে।”

দীর্ঘদিন পরে আজ বাংলাদেশে হইহই করে ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল ও মালা দিতে হাজার হাজার কর্মী ও প্রায় সব নেতা হাজির হয়েছিলেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “আজ যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, তার জন্যে বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করছে। বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন, ২ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।” দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের কর্মীদের বলেন, “অবিলম্বে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। দেশে যাতে আর স্বৈরাচার না প্রতিষ্ঠিত হয়, সে জন্য কারও দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement