Mallikarjun Kharge

মল্লিকার্জুন খড়্গের যাত্রা শুরু বুধবার, বিপর্যস্ত কংগ্রেসকে চাঙ্গা করাই চ্যালেঞ্জ

পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন না হলে জগজীবন রামের পরে প্রথম দলিত কংগ্রেস সভাপতিকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়তে নামবে কংগ্রেস। তার আগে রয়েছে একাধিক বিধানসভা ভোট।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ২১:৪০
মল্লিকার্জুন খড়্গে এ বার সনিয়া গান্ধীর আসনে।

মল্লিকার্জুন খড়্গে এ বার সনিয়া গান্ধীর আসনে। ফাইল চিত্র।

তাঁর পূর্বসূরি সনিয়া গান্ধী প্রায় আড়াই দশক আগে কংগ্রেসের হাল ধরেছিলেন তখনও দলে সঙ্কট ছিল। কিন্তু এখন তা গভীরতর হয়েছে। এই আবহেই বুধবার কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের শীর্ষ পদের দায়িত্ব নেবেন।

১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পর সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল সনিয়ার কাঁধে। সে সময় দেশের মাত্র ৩টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দীপ্রাচীন দল। কিন্তু লোকসভায় নির্বাচিত সাংসদের সংখ্যা ছিল ১৪১। গত দু’টি লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী ঝড়ের মুখে ষাটের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি কংগ্রেস।

Advertisement

পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন না হলে জগজীবন রামের পরে প্রথম দলিত কংগ্রেস সভাপতিকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়তে নামবে কংগ্রেস। সেখানে দলিত এবং অনগ্রসর ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মোদী যে ভাবে হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের ছাতার তলায় দলিত, ওবিসি, সবাইকেই টেনে এনেছেন, তাতে ফের দলিত ভোট ফিরে পাওয়াটা খড়্গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সামনে কঠিন লড়াই বলে মনে করছেন অনেকেই।

লোকসভা ভোটের আগে হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান-সহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটও রয়েছে। শেষ দু’টি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের অবস্থা বিশেষ ভাল নয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ফলে লোকসভা ভোটের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাও খড়্গের বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শশী তারুরকে বিপুল ব্যবধানে পিছনে ফেলে জয়ী হন খড়্গে। ভোট পড়েছিল ৯,৩৮৫টি। তার মধ্যে খড়্গে পান ৭,৮৯৭ ভোট। শশীর ঝুলিতে যায় মাত্র ১,০৭২টি। কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি (সিইএ) ৪১৬টি ভোট বাতিল ঘোষণা করে। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন। এর আগে সীতারাম কেশরীওই পদে বসেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement