Global Warming

উষ্ণতম জুলাইয়ের সাক্ষী রইল পৃথিবী, সতর্ক করল জলবায়ু পর্যবেক্ষক সংস্থা

এর আগে পর্যন্ত ২০১৯ সালে উষ্ণতম জুলাইয়ের সাক্ষী হয়েছিল পৃথিবী। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। গত মাসের গড় তাপমাত্রা ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ০.৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৭
image of summer

ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।

এত উষ্ণ জুলাই মাস আগে দেখেনি এই নীল গ্রহ। পৃথিবীতে যখন থেকে তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হচ্ছে, সেই থেকে ধরলে গত জুলাই মাসের গড় উষ্ণতা ছিল সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার এ কথা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষক সংস্থা।

Advertisement

এর আগে পর্যন্ত ২০১৯ সালে উষ্ণতম জুলাইয়ের সাক্ষী হয়েছিল পৃথিবী। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। গত মাসের গড় তাপমাত্রা ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ০.৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে জুলাই মাসের গড় উষ্ণতা যা ছিল, গত মাসে গড় উষ্ণতা তার থেকে ০.৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষক জানিয়েছে, ১৮০০ সাল থেকে পৃথিবীর উষ্ণতা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ জীবাশ্মের দহন। সে কারণে আরও ঘন ঘন হচ্ছে তাপপ্রবাহ। তার মেয়াদও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝড় এবং বন্যার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘উত্তর গোলার্ধেরও বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ হচ্ছে। এমনকি, দক্ষিণ ইউরোপেও। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি এবং আন্টার্কটিকায় গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’

১৯৯১-২০০০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ২০১৬ এবং ২০২৩ সালের গড় তাপমাত্রার ফারাক আরও বাড়বে। কারণ ২০১৬ সালের শেষার্ধে গড় তাপমাত্রা কমেছিল। আর ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে শেষার্ধে গড় তাপমাত্রা এল নিনোর প্রভাবে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুর পরিসংখ্যান বলছে, ৩০ জুলাই সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা বেড়ে হয়েছিল ২০.৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালের মার্চে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা ছিল ২০.৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement