Joe Biden

রাশিয়ার পরমাণু চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি বাইডেনে

ই নতুন আমেরিকান বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়ে দেন, এই চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:০৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দিন কয়েক আগেই পুতিন-বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির গ্রেফতারি নিয়ে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুর চড়িয়েছিল আমেরিকান প্রশাসন। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের সেই পদক্ষেপ দু’দেশের পরমাণু চুক্তিতে কোনও ছায়া ফেলল না। রাশিয়ার সঙ্গে করা পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। প্রত্যাশামতোই যার কড়া সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠেরা।

২০১০ সালে, বারাক ওবামার আমলে, রুশ সরকারের সঙ্গে ‘নিউ স্টার্ট’ নামে ওই চুক্তি সই হয়েছিল প্রাগে। আগামী কাল সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই নতুন আমেরিকান বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়ে দেন, এই চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকার মানুষকে পরমাণু অস্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বদ্ধপরিকর। তাই এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’’ একই সঙ্গে রাশিয়াও যাতে তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক থাকে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।

Advertisement

ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য তাঁর আমলে এই চুক্তি পুরোপুরি বাতিল করে গোটা বিষয়টির মধ্যে চিনকেও আনার চেষ্টা করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য ছিল, চিন গোপনে অবাধ পরমাণু কর্মসূচি নিচ্ছে। বেজিংকেও তাই ওই চুক্তির আওতায় আনার চেষ্টায় ছিল তাঁর প্রশাসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন দুই রিপাবলিকান নেতা মাইক ম্যাকল এবং মাইক রজার্স। হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের এই দুই নেতার বক্তব্য, চুক্তির মেয়াদ বাড়ালেও তা কম সময়ের জন্য করা উচিত ছিল। কারণ এক লাফে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির অর্থ— পুতিন প্রশাসনকে কোনও বিষয়েই আর আলোচনার টেবিলে আনা সম্ভব হবে না। যদিও ন্যাটোর তরফে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের উপরে তাঁদের প্রশাসন চাপ বজায় রাখবে। বাইডেন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তাঁরা তদন্ত বন্ধ করবেন না। একই সঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব রাশিয়ায় বন্দি দুই আমেরিকান নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্যও মস্কোকে চাপ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement