নীলকণ্ঠ অত্যন্ত উপভোগ্য নাটক হয়েছে। নামভূমিকায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অবিস্মরণীয় অভিনয় করেছেন।” সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন নাটকটি দেখার পর, আশির দশকের শেষ, নাটকটি তখন নিয়মিত অভিনয় হচ্ছে সাধারণ রঙ্গালয়ে। ঠিক এক দশক আগে পাকাপাকি ভাবে সাধারণ রঙ্গালয়ে নাটক নির্দেশনা ও অভিনয়ের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন সৌমিত্র। ১৯৭৮-এ মঞ্চস্থ করেন নাম জীবন, এতটাই সাড়া পড়েছিল নাট্যমহলে যে উৎপল দত্ত কলম তুলে নেন তা নিয়ে আলোচনার জন্যে।
কিন্তু শিশিরকুমার ভাদুড়ীর দৃষ্টান্ত ও সান্নিধ্যে প্রাণিত হলেও, থিয়েটারে তাঁর প্রথম আগ্রহের পর পঞ্চাশের দশকের শেষে অপুর সংসার-এ অভিনয় থেকেই সৌমিত্র দ্রুত সিনেমায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ফের বছর কুড়ি পরে সাধারণ রঙ্গালয়ে প্রত্যাবর্তন। মাঝখানে নাট্যানুবাদ বা নাট্যচর্চায় থাকলেও তা তত নিয়মিত ছিল না। থিয়েটারে পূর্ণোদ্যমে এই ফেরার তাগিদ কী ভাবে আসে— শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “থিয়েটারের প্রতি একটা বিশাল টান আমাকে ভীষণভাবে খোঁচাচ্ছিল। একবার সিনেমায় ঢুকে পড়ে, প্রথম ছবিতে সাকসেসফুল হয়ে গেলে তখন তো অনবরত কাজ, তার মধ্যে কিছুতেই থিয়েটার করতে পারছি না, এই নিয়ে দীর্ঘদিন মনের ভিতর একটা কষ্ট হচ্ছিল।”
তত দিনে অবশ্য অনেকের কাছেই মননশীল শিল্পগুণান্বিত ভাল থিয়েটার আর গ্রুপ থিয়েটার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও সৌমিত্রবাবুর মনে হল: মিনার্ভায় উৎপল দত্ত পরিচালিত লিটল থিয়েটার গ্রুপ, রঙ্গনায় অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত নান্দীকার একটি সত্যকেই তীক্ষ্ণ ভাবে সজাগ করে তুলেছিল যে থিয়েটারকে আদতে গরিষ্ঠ দেশবাসীর কাছে পৌঁছোতে হবে এবং গরিষ্ঠ দর্শক সাধারণ রঙ্গালয়েই নাটক দেখতে আসেন, অতএব ভাল থিয়েটারের জন্য লড়াইটা শেষ পর্যন্ত সাধারণ রঙ্গালয় থেকেই করতে হবে।
“এইরকম চিন্তা ও বিশ্বাসের থেকেই আমি নানান দেশের নাটক থেকে সেইসব নাটক বেছে নিয়েছি যা থেকে বাংলা নাটকের কাজ করা যায়, আবার সেই সঙ্গেই যে সব নাটকের মর্মবস্তু বিশ্বজনীন।” বলেছিলেন বঙ্গরঙ্গমঞ্চে গত চার দশকের নিয়মিত অভিনেতা ও নির্দেশক সৌমিত্র (ছবিতে হোমাপাখি নাটকের দৃশ্য)। সেই ভাবনার রূপায়ণেই ১৯৯৪-এর অগস্টে জঁ আনুই-এর থিভস কার্নিভাল অবলম্বনে করেন চন্দনপুরের চোর। তিরিশ বছর পেরিয়ে, আগামীকাল তাঁর নব্বই পূর্তির জন্মদিনে অ্যাকাডেমি মঞ্চে দুপুর আড়াইটেয় নতুন ভাবে নিজের নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চস্থ করছেন পৌলমী চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “নব্বই বছর পূর্তিতে ওঁর কাজের ঐতিহ্যকে জাগিয়ে রাখতে চাইছি মানুষের মধ্যে।” নাটকটিতে অভিনয়ও করছেন তিনি। বিলু দত্তের ‘মুখোমুখি’ এবং সৌমিত্র ও দীপা চট্টোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের তরফে উদ্যাপন করা হচ্ছে এই জন্মদিন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেখানেই সৌমিত্র নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা দেবেন শর্মিলা ঠাকুর। সৌমিত্রবাবুর বিভিন্ন নাট্যাংশের ভিত্তিতে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় রচিত আলেখ্য পাঠ-অভিনয় হবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে অ্যাকাডেমির সেন্ট্রাল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে সৌমিত্রের ছবি ও তাঁর অভিনীত ছবির প্রদর্শনীও।
ভাঙার গান
১৯২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রকাশিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের (ছবি) কাব্য, ভাঙার গান। তিন মাসের মধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয় বইটি। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায় স্বাধীনতারও পরে, ১৯৪৯ সালে। গত কয়েক দশকে এ বই নতুন করে প্রকাশের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। অথচ সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান হোক বা আর জি করের ঘটনা, রাজপথে সমবেত কণ্ঠে এই ভাঙার গানই গেয়েছেন মানুষ। গত ১০ জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙার গান-এর শতবার্ষিক সংস্করণ প্রকাশিত হল ব্ল্যাকলেটার্স-এর উদ্যোগে, নবকলেবর উন্মোচন করলেন বিশিষ্ট নজরুল-গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত। শতবার্ষিক সংস্করণে গ্রন্থভুক্ত হয়েছে কবির হস্তাক্ষর, ছবি, ফ্যাক্সিমিলি, গুরুত্বপূর্ণ নথি, প্রসঙ্গকথা, উত্তরভাষ। ছিল এই সময়ের স্বাক্ষরও: বন্দিত্বের এ কাল-সে কাল, প্রতিরোধের সাহিত্য থেকে ইউএপিএ, স্ট্যান স্বামী থেকে জি এন সাইবাবা-প্রসঙ্গ— কথায়, গানে।
অণু-নাট্য
কলকাতায় একটি উচ্চমার্গের সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে, এই লক্ষ্যে ২০০৩-এ যাত্রা শুরু কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আর্ট লিটারেচার অ্যান্ড কালচার-এর৷ পথ দেখিয়েছিলেন প্রণম্য সারস্বতেরা। কাজ এগিয়েছে অনেক, ইতিমধ্যে রাজা বসন্ত রায় রোডে তৈরি হয়েছে আর্ট গ্যালারি, বই-আস্তানা, সেমিনার কক্ষ। ছোট ছবির উৎসব, আলোচনাসভা, শিল্প প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব হয়েছে সেখানে। আজ দুপুর আড়াইটা থেকে এখানেই অভিনব ‘অণু-নাটক উৎসব’, বালিগঞ্জ অন্তর্মুখ, শিল্পী সঙ্ঘ, সন্দর্ভ, নয়াবাদ কালচারাল সোসাইটি, বিজয়গড় মনপ্রাণ, মার্গণ-এর প্রযোজনায় অনেকগুলি নাটক৷ প্রাক্কথনে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুনঃ ইতিহাস
যাঁরা ইতিহাস গড়েন, তাঁরা সচরাচর তা লিপিবদ্ধ করার সুযোগ পান না। ব্যতিক্রম শিবনাথ শাস্ত্রী, ১৯১১-১২ সালে দুই খণ্ডে লেখেন হিস্ট্রি অব দ্য ব্রাহ্ম সমাজ, যে ইতিহাসের অংশ তিনি নিজেও। এই বই প্রকাশে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ করেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, যাঁর সম্পাদিত দ্য মডার্ন রিভিউ পত্রিকায় ব্রাহ্ম আন্দোলনের পাশাপাশি ধরা আছে সমগ্র বিশ্ব ও ভারত: রবীন্দ্রনাথ রোমাঁ রলাঁ ভগিনী নিবেদিতা যদুনাথ সরকার, কে লেখেননি! সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে পুনর্মুদ্রিত হচ্ছে হিস্ট্রি অব দ্য ব্রাহ্ম সমাজ, সঙ্গে দ্য মডার্ন রিভিউ পত্রিকার প্রথম কুড়ি বছরের সূচি কিউমুলেটিভ ইনডেক্স টু দ্য আর্টিকলস অব দ্য মডার্ন রিভিউ। ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে প্রকাশ-অনুষ্ঠানে বলবেন রোসিঙ্কা চৌধুরী ও অশোক বিশ্বনাথন।
নির্মাণ-কথা
বাল্মীকিপ্রতিভা লেখা হল ১৮৮১ সালে, সে বছরই জোড়াসাঁকোয় প্রথম অভিনয়। তখন কিছু দিন হল প্রকাশিত হয়েছে বিহারীলাল চক্রবর্তীর সারদামঙ্গল কাব্য, বিহারীলালের বাল্মীকির সঙ্গে দস্যু রত্নাকরের গল্প মিশিয়ে এক নতুন চরিত্রের আদল ছিল কি বাল্মীকিপ্রতিভা-য়? বিলেতে থাকাকালে কয়েকটি অপেরা দেখেছিলেন তরুণ রবি, তার সুরের ক্যানভাস মনে ধরেছিল তাঁর, সেও স্ফুট এই গীতিনাট্যে। এক দিকে উনিশ শতকের ষাটের দশক থেকে কলকাতায় প্রচলিত গীতাভিনয়ের ধারা, অন্য দিকে পিয়ানোয় সুর নিয়ে নিরীক্ষার কাজে অক্ষয় চৌধুরীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকেও জড়িয়ে নেওয়া জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের... এই সব কিছু মিলিয়েই, কথা গান ছবি দিয়ে বাল্মীকিপ্রতিভা নির্মাণ-বৃত্তান্ত শোনাবে গানের দল পুনশ্চ। আজ সন্ধে সাড়ে ৬টায়, তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে।
অনুবাদে
১৯৩৪ সালে অনুরূপা দেবীর উপন্যাস মা ধরা দিল বড় পর্দায়, কানন দেবীর অভিনয়ে। ১৯৩৬-এ তার হিন্দি সংস্করণও তৈরি হয়। এই উপন্যাসের রচয়িত্রী অনুরূপা দেবী (১৮৮২-১৯৫৮), ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের পৌত্রী। তাঁর বেশ ক’টি উপন্যাস থেকে জনপ্রিয় ছবি হয়েছিল সে কালে— মন্ত্রশক্তি, মহানিশা, পথের সাথী। উনিশ-বিশ শতকের বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ, নারীজীবনের আয়না যেন লেখাগুলি। এই কলমের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের অপরিচয়ের দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগ করেছেন অনুরূপা দেবীর পৌত্রী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপিকা সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায় ভট্টাচার্য। মা উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন তিনি। আজ সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক প্রকাশ, রূপা পাবলিকেশনের উদ্যোগে।
বছরভর
“আমার স্বামী একবার কালীঘাট থেকে তিনটে পটের ছবি এনে যামিনীদাকে দেন, সেই তিনটিই যামিনীদা বড়ো করে আঁকেন ওঁর স্টাইলে: একটি মেয়ে বেহালা বাজাচ্ছে, আরেকটি তবলা, আর আমাদের বাড়িতে যেটা যামিনীদা ওঁকে দিয়েছিলেন, উনি আমাকে দিয়েছিলেন, আমি বাঁধিয়ে আনিয়ে রাখি— মেয়েটির হাতে গোলাপফুল।” বিষ্ণু দের স্ত্রী প্রণতি দে লিখেছিলেন চতুরঙ্গ পত্রিকায়। বিষ্ণু দে-র পরিবারের সংগ্রহে থাকা যামিনী রায়ের বিভিন্ন পর্বের মোট ষোলোটি কাজ (ছবি) এই প্রথম প্রদর্শনীতে, দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস-এ: ‘আ মাস্টার’স গিফ্ট টু আ মাস্টার’। আগামী কাল সন্ধেয় শুরু, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রোজ ২টো-৮টা (রবিবার বাদে)। দেবভাষার নব উদ্যোগ ‘আর্ট থ্রুআউট দ্য ইয়ার’, বারোমাস জুড়েই কিংবদন্তি ও সমসাময়িক শিল্পীদের প্রদর্শনী, সঙ্গে গ্রন্থপ্রকাশ, কর্মশালা, আলোচনা: তারই শুরু হল এই দিয়ে। তিন তলায় গ্যালারি চিত্রলেখায় অন্য প্রদর্শনী ‘এনডিউরিং লেগ্যাসি’: নন্দলাল বসু ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব বর্মণ বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় রামকিঙ্কর বেজ দীনকর কৌশিক কে জি সুব্রহ্মণ্যন থেকে গণেশ হালুই যোগেন চৌধুরীর কাজ।
হে অতীত
চর্যাপদ-এর বাংলা থেকে গত শতকের ষাটের দশকের কলকাতা। এই দীর্ঘ সময়ের নানা চিহ্ন সংগ্রহশালার ঘেরাটোপের বাইরেও সযত্নে রক্ষিত শহরের সংগ্রাহকদের কাছে। কলকাতা চুঁচুড়া চন্দননগর কাশিমবাজার সুন্দরবন মুর্শিদাবাদে বিদেশি শাসন-সূচনার নথি, সে কালের মহিলা-মহলের প্রসাধনী, স্টুডিয়ো-আলোকচিত্র, ওল্ড বেঙ্গল চিত্রকলা, দেশলাই বাক্স, হাওড়ায় ট্রামের ইতিহাস, বিশিষ্ট লেখকদের পাণ্ডুলিপি, প্রাচীন পুঁথি, বটতলার সাহিত্য, বিস্মৃতপ্রায় ব্যাঙ্ক নোট ও মুদ্রা, বিবিধ পণ্যের লেবেল, তাস, ক্যামেরা, রাজা ষষ্ঠ জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময়ের স্মারক (ছবি)— এই সবই সামনে আনছে ‘কলকাতার কথকতা’। ‘হে অতীত কথা কও’ নামের বার্ষিক প্রদর্শনীতে বাইশ জন সংগ্রাহকের সম্ভার দেখা যাচ্ছে নেহরু চিলড্রেন’স মিউজ়িয়মে। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত, দুপুর ১-৭টা। ওঁরা প্রকাশ করেছেন কলকাতা কথকতা পত্রিকাও।
ছোটদের জন্য
“দশক পেরোল কলকাতার শিশু-কিশোর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, যা শুধু ছোটদের জন্য। এমনটা কিন্তু সারা দেশেই বিরল,” বলছিলেন অর্পিতা ঘোষ, উৎসব-আয়োজক শিশু-কিশোর আকাদেমির চেয়ারপার্সন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত এই আকাদেমি সরকারের পূর্ণ সহযোগিতায় উৎসবটিকে ছোটদের বার্ষিক উৎসব করে তুলেছে। উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় নন্দন ১-এ। উদ্বোধনী ছবি এলহাম, তার মুখ্য শিশু অভিনেতা প্রদীপ জ্বেলে সূচনা করবেন উৎসবের। প্রকাশিত হবে উৎসবের ব্রোশিয়োর, আকাদেমি-পত্রিকা চির-সবুজ লেখা-র উৎসব সংখ্যা; দৈনিক বুলেটিন বেরোবে, থাকবে বই-স্টল। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নন্দন রবীন্দ্রসদন-সহ আটটি প্রেক্ষাগৃহে ত্রিশটি দেশের ১১৬টি ছবি; দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় সিনেমা তৈরির কলাকৌশল বিষয়ক প্রদর্শনী। ছোটরা অনায়াসে গড়ুক কল্পনার ভুবন, এ বারের উৎসব-থিম তাই ‘ফ্যান্টাসি’।