গাজ়ায় ইজ়রায়েল বাহিনীর হামলা। ছবি: রয়টার্স।
পণবন্দিদের মুক্তি এবং একই সঙ্গে গাজ়াকে হামাসমুক্ত করে তাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে ফেলার কাজটা যে খুব একটা সহজ নয়, তা কার্যত ‘মেনে নিয়েছে’ ইজ়রায়েল বাহিনী। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে। ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর শীর্ষ কর্তারা এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করেছেন।
হামাসের হাতে এখনও ১০০ ইজ়রায়েলি বন্দি রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুধু তাই-ই নয়, হামাস বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ কয়েক জন পণবন্দির মৃত্যুও হয়েছে। যা নিয়ে দেশের অন্দরেই যথেষ্ট চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি হুঙ্কার দিয়েছিলেন হামাসকে শেষ করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। একেবারে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, এই লড়াইয়ের ১০০ দিন পার হয়ে গেলেও যে গতিতে ইজ়রায়েল বাহিনী গাজ়া দখলের লক্ষ্য নিয়েছিল, কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই লড়াইয়ে গাজ়ার খুব সামান্য অংশই নিজেদের দখলে আনতে পেরেছে ইজ়রায়েল বাহিনী।
যে গতিতে গাজ়ায় ঢুকে হামাসের ডেরাগুলি ধ্বংস করা শুরু করেছিল, সময় যত এগিয়েছে ইজ়রায়েল বাহিনী সেই গতি হারিয়েছে, শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, ইজ়রায়েল বাহিনীও মনে করছে, হামাসের হাতে যাঁরা এখনও বন্দি, সামরিক অভিযানে নয়, তাঁদের উদ্ধার সম্ভব একমাত্র কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, হামাস বাহিনীকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে ইজ়রায়েল বাহিনী?
ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ইজ়রায়েল বাহিনীর কমান্ডারদের একাংশ কার্যত মেনে নিচ্ছেন, হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে আরও অনেক প্রাণ ঝরবে। ফলে এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে, তা হলে কি আর রক্ত ঝরাতে চাইছে না ইজ়রায়েল বাহিনী? যদিও ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স-এর তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।