মহসিন শেকারি নামে ওই যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি টুইটার।
সরকার বিরোধী আন্দোলনের আবহে ইরানে প্রথম এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। বৃহস্পতিবার সকালে ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান সরকার। সে দেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই যুবক। এই ঘটনার জেরে সে দেশে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তেহরানে রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনীর এক জওয়ানকে ছুরি দিয়ে আঘাত করারও অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রুতা’ করেছেন ওই যুবক, সেই ‘অপরাধে’ই তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের আদালত।
এই ঘটনায় সরব হয়েছে ইরানের মানবাধিকার সংগঠনগুলি। মৃত্যুদণ্ডের ঘটনায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক মহল যাতে সরব হয়, সেই আর্জি জানিয়েছে তারা। তাদের মতে, মহসিনের মৃত্যুদণ্ডের জেরে সরকার যদি কঠোর পরিণতির মুখোমুখি না হয়, তা হলে ইরানে বিক্ষোভকারীদের গণহত্যা হতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই মহসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইরানের আদালত। ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধে’র অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, মাহশা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সি এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ফুঁসছে ইরান। কুর্দিস্তান থেকে তেহরানে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, ঠিকমতো হিজাব না পরায় তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় নীতিপুলিশের দল। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় মাহশার। এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় ইরানে। তার পর থেকেই হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে গর্জে ওঠেন ইরানবাসী। সেই বিক্ষোভের এক আন্দোলনকারীর ফাঁসি ঘিরে নতুন করে উত্তাপ বাড়ল সে দেশে।