Imran Khan

প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ইমরানের

প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে ইমরান জানান, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য তিনি দায়ী করেছেন বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রীকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৯
Imran Khan writes letter to Chief Justice of Pakistan seeks security for court appearance

প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে, আশঙ্কা ইমরান খানের। ফাইল চিত্র।

প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আরও এক বার আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে চিঠিও দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি উমর অটা বান্ডিয়ালকে। ৯ মার্চ তোষাখানা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ইমরানকে আদালতে হাজির করানো হতে পারে। ওই দিন ইমরানের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করছে তাঁর দল। সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি প্রথম সারির দৈনিকে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে ইমরান জানিয়েছেন, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য তিনি দায়ী করেছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীকে। কিছু মাস আগেই আচমকা হামলায় পায়ে গুলি লাগে ইমরানের। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইমরানের দাবি, তাঁকে আবারও মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

ইমরান ওই চিঠিতে এ-ও জানিয়েছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ৭৪টি মামলা রুজু করেছে পাক সরকার। তাই জীবনের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতেই তাঁর নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তিনি। গত রবিবার সকালে রটে গিয়েছিল ইমরান খানকে পুলিশের গ্রেফতার করতে আসার খবর। শোনা যায় ইসলামাবাদ এবং করাচি থেকে পুলিশ আসছে লাহোরে। ইমরানের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করবে বলে। ইমরান যে বাড়িতেই রয়েছেন, সেই তথ্য পুলিশের কাছে ছিল কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ইমরানের সমর্থকেরা। তবে পুলিশ আসছে শুনেই লাহোরের ইমরানের জ়ামান পার্কের বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন তাঁর সমর্থকেরা। দুপুরে সেখানেই আসে পুলিশ। সমর্থকদের ভিড় এড়িয়ে বাড়ির ভিতরেও ঢোকে। কিন্তু সেখানে ইমরানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গোটা বাড়ি খুঁজে দেখে পুলিশ বলে দেয়, ‘‘এসপি (পুলিশ সুপার) ইমরানের ঘরে গিয়েছিলেন। পুলিশের বড় দল এসেছিল তাঁকে গ্রেফতার করতে। কিন্তু ইমরান সেখানে ছিলেন না।’’

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সরকারি ভান্ডার বা তোষাখানায় জমা না দিয়ে, মোটা দামে বিক্রি করার অভিযোগ ছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। এই জন্যই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ইমরানের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ইমরান। পরে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার একাধিক শুনানিতে উপস্থিত হননি তিনি। সেই অভিযোগেই ইমরানকে গ্রেফতার করতে রবিবার ইসলামাবাদ থেকে লাহোরে ইমরানের জ়ামান পার্কের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। এই মামলায় আপাতত আগাম জামিন নিয়ে রাখা ইমরান ৯ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে পারেন বলে পিটিআই সূত্রে থবর।

আরও পড়ুন
Advertisement