বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া, যা চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। মোট ৩০০টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নওগাঁ-২ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হয়েছে। তাই রবিবার ২৯৯টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।
সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, ভোট শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে হাসিনা নিজের ভোট দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট আসনের তারকা প্রার্থী তথা অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। এ ছাড়া, হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর পুত্র রাদওয়ান মুজিব ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন।
নৌকার জয় নিয়ে আশাবাদী হাসিনা। ভোট দিয়ে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের জনগণের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। তাঁর দলেরই জয় হবে বলে তিনি নিশ্চিত।
বাংলাদেশের ২৮টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,৯৬৯ জন। ভোটের আগে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের নানা প্রান্ত। হাসিনা সরকারের তত্ত্বাবধানে কোনও নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি, জামাত-এ-ইসলামি, বাম জোটের মতো বিরোধী শিবির। ভোট বয়কটের দাবিতে প্রচারও চালিয়েছে। তাঁদের দাবি ছিল ‘নির্দল এবং নিরপেক্ষ’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু সেই দাবি শাসকদল আওয়ামী লীগ খারিজ করায় তৈরি হয়েছে সংঘাতের আবহ।
শুক্রবার রাতে যশোরের বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকাগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে আগুন ধরে যায়। কমলাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে ট্রেনের তিনটি কামরা। সেই ঘটনার শনিবার বিএনপির সাত জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
শেষ বেলার নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশে খুনও হয়েছেন তিন জন। শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল (ধর্মঘট) শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল। তা চলবে সোমবার পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে হাসিনা রবিবার বলেন, ‘‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল, বাংলাদেশের মানুষ তাদের হরতালের তালে নাচে না।’’
নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য বুধবার সেনাবাহিনীকে নামিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। সারা দেশে এক লক্ষ ৭৪ হাজার কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।