খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শেষ বেলার নির্বাচনী প্রচারে খুন হয়েছেন তিন জন। সেই ঘটনা ঘিরে রয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল (ধর্মঘট) শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। উত্তেজনার এই আবহেই রবিবার ভোটগ্রহণ সে দেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের তত্ত্বাবধানে কোনও নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে বিএনপি, জামাত-এ-ইসলামি, বাম জোটের মতো বিরোধী শিবির। ভোট বয়কটের দাবিতে প্রচারও চালিয়েছে। তাঁদের দাবি ছিল ‘নির্দল এবং নিরপেক্ষ’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু সেই দাবি শাসকদল আওয়ামী লীগ খারিজ করায় তৈরি হয়েছে সংঘাতের আবহ।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে বিএনপির হরতাল। চলবে আগামী ৮ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে হরতালের কথা ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবারের ভোটগ্রহণ চলাকালীন বিএনপি কর্মী-সমর্থকেরা হরতাল সফল করতে পথে নামলে সংঘাত অনিবার্য বলেই আশঙ্কা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। ইতিমধ্যেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য বুধবার সেনাবাহিনীকে নামিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অশান্তি হলে ভোটদানের হার কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা শাসক শিবিরের।