প্রথম কম্পনের কিছু ক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে। ছবি: রয়টার্স।
সোমবার ভোরবেলার চিত্র। তুরস্কবাসীরা কেউ কেউ গভীর নিদ্রায় মগ্ন। কেউ আবার শরীরচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই মুহূর্তে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ তুরস্ক। সোমবার ভোরবেলায় অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পনের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কিছু ক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্প দেখেনি। বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক, টুইটারে। এই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র কম্পনের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
7.6 is the largest earthquake Turkey experienced in 1999, if 7.8 remains accurate, this will the largest quake for them since then. pic.twitter.com/PKPsHXRsMc
— Nerdy 🅳🅳🅸🅲🆃 (@Nerdy_Addict) February 6, 2023
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬০০-র বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে ১,৭০০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত ২,৩০০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গাজিয়ানতেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল টুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আপনারা শান্ত থাকুন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালাবেন না। দয়া করে রাস্তায় ভিড় করবেন না।’’